আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর থেকেই প্রতিশোধের অনলে পুড়ছে ইরান ও প্রতিরোধ যোদ্ধারা। হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে তাদের ইস্পাত দৃঢ় অঙ্গীকারে মধ্যপ্রাচ্যে আবারও যুদ্ধের দামামা বাজছে।
যেকোনো সময় ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে পারে ইরানি বাহিনী, এমনটা বেশ আগ থেকেই বলা হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সোমবারই (৫ আগস্ট) ইসরায়েলের ভেতরে পাল্টা হামলা করতে পারে ইরান ও হিজবুল্লাহ। সে অনুযায়ী মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে রণকৌশল সাজাচ্ছে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন।
মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, রোববার (৪ আগস্ট) বিশ্বের সাত শিল্পোন্নত দেশের জোট জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কনফারেন্স করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে এই সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান ও হিজবুল্লাহর আক্রমণ সোমবার শুরু হতে পারে। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন তিনটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে অ্যাক্সিওস।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য নিয়ে গঠিত জি-৭। এদের সবাই মার্কিন মিত্র এবং এদের মোড়ল হিসেবে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে যতটা সম্ভব ইসরায়েলের ওপর ইরান ও হিজবুল্লাহর প্রতিশোধের মাত্রা কমিয়ে আনতে শেষ মুহূর্তের কূটনৈতিক চাপ তৈরি করার চেষ্টা করার জন্য তিনি এই বৈঠক করেছেন। তাদের হামলার মাত্রা সীমিত করাকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানোর সর্বোত্তম সুযোগ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আক্রমণের সঠিক সময় জানে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরবর্তী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা শুরু হতে পারে। এর মানে হলো সোমবারই শুরু হতে পারে।
তবে ইসরায়েল, ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর কূটনৈতিক চাপ দিতে মিত্রদের বললেও মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সক্ষমতা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ব্লিঙ্কেন বলেছেন, প্রতিরোধের উদ্দেশ্যেই সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তিনি নিহত হন। এই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও হামাসের তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস। যদিও এই হামলার দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেনি তেল আবিব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।