আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রচুর নারী ও শিশু আছে বলে দাবি করেছে তারা। তবে হামাসের এই তথ্য যাচাই করে দেখা হয়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় সাহায্য পাঠানোর বৈঠক পিছিয়ে গেছে। আমেরিকা এই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। তাদের বক্তব্য, মিশরের সঙ্গে এবিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শুরু হওয়া উচিত।
এই নিয়ে তৃতীয় দিন পিছিয়ে গেল নিরাপত্তা পরিষদের গাজা সংক্রান্ত আলোচনা এবং ভোটাভুটি। বুধবার জাতিসংঘে অ্যামেরিকার কূটনীতিক লিন্ডা টমাস ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, আপাতত মিশরের সীমান্ত দিয়ে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। এবিষয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে মিশরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকের পরেই নিরাপত্তা পরিষদে এবিষয়ে আলোচনা এবং ভোটাভুটি হওয়া উচিত।
আপাতত ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গাজা নিয়ে আলোচনা এবং ভোটাভুটি হবে। তবে শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার তা হয় কি না, সেটাই দেখার।
ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, গাজা শহরের নিচে বিরাট সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে তারা। হামাসের সমস্ত নেতা ওই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে তাদের কম্যান্ড দিতেন বলে সেনার দাবি। ওই সুড়ঙ্গের ভিতর কন্ট্রোল রুম, বৈঠকের ঘর, থাকার জায়গা-সহ সবরকমের ব্যবস্থা আছে বলে তাদের দাবি।
বুধবার ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, ওই সুড়ঙ্গে একেকটি ঘরের আয়তন ৬০ বর্গফুট। উপর থেকে নিচে নামার এলিভেটর, সিঁড়ি সব আছে। আলাদা করে প্রতিটি ঘরে জলের এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। যথেষ্ট পরিমাণ খাবার এবং অস্ত্র জমিয়া রাখার ব্যবস্থা করা আছে সুড়ঙ্গের ভিতর। বস্তুত, সেখানে থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মিলেছে বলেও দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনা।
হামাসের সর্বোচ্চ কম্যান্ড ওখান থেকেই তাদের কাজ চালাতো বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সেনার দাবি, গাজার একদম মাঝখানে ফিলিস্তিন স্কোয়্যারের নিচে এই সুড়ঙ্গ তৈরি। এর উপর সরকারি অফিস, স্কুল, বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়ি আছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া এক পণবন্দি জানিয়েছেন, গাজার এই সুড়ঙ্গ অনেকটা মাকরশার জালের মতো। চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ আবার আবেদন করেছেন, আপাতত একটি সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তিতে আসার জন্য। মাক্রোঁর বক্তব্য, সমস্ত মানুষের প্রাণের মূল্য সমান। যেভাবে অভিযান চলছে, তাতে প্রচুর বেসামরিক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। তা-ই আপাতত অভিযান বন্ধ করা প্রয়োজন। মাক্রোঁ জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু এভাবে অভিযান চালানো ঠিক হচ্ছে না। এবিষয়ে আগেও সরব হয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
(রয়টার্স, এপি, এএফপি)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।