জুমবাংলা ডেস্ক: নতুন নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা তার পরিবারবর্গের কাউকে না রাখার প্রস্তাবসহ চার দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ)।
রাষ্ট্রপতির সাথে আজ বিকাল চারটায় বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে এই প্রস্তাবনা দেয় বিটিএফ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি।
সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, সংলাপে তরিকত ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ স্বাধীন, কার্যকরী অগ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে চার দফা দাবি পেশ করেন।
বিটিএফের নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৮ (১) এ নির্বাচন কমিশন আইনের কথা উল্লেখ থাকলেও বিগত কোন সরকারই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বর্তমান পেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করা দরকার।
পিটিএফ চেয়ারম্যান অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠনের ব্যাপারেও মত দেন। তবে বিষয়টি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও বিতরকের ঊর্ধ্বে থাকার জন্য রাজনৈতিক দল ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় বা সংলাপের আহ্বান জানান।
মাইজভান্ডারী বলেন, প্রস্তাবিত অনুসন্ধান কমিটিতে গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার ও প্রস্তাব দেন।
নির্বাচন কমিশনে যাতে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা তাদের পরিবারবর্গের কাউকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া না হয় সে দাবি জানান বিটিএস।
বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।