ধর্ম ডেস্ক : দখলদার ইসরাইলের এক নারী ইহুদি ধর্ম ছেড়ে সপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইসরাইলি টিভি চ্যানেল থার্টিন জানিয়েছে, ইহুদি পরিবারে বেড়ে ওঠা ইলাত শহরে বসবাসকারী এই নারী হঠাৎ করেই তার পূর্বপুরুষদের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন।ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দুনিয়া আল-ওতানের খবরে বলা হয়েছে,মুসলিম হওয়ার পরে ইলাত ছেড়ে সপরিবারে পশ্চিম তীরের খলিল পর্বতের পাদদেশে হিজরত করেছেন নওমুসলিম ওই নারী।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরে ইলাতে থাকাকালীন সময়ে পরিবারের দুটি শিশুবাচ্চাকে সাময়িক সময়ের জন্য অপহরণ করে ইসরাইলের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তাদেরকে বাপদাদাদের ভিটেমাটি ছাড়ার হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে জীবন বাঁচানোর তাকিদে পশ্চিম তীরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তারা। তবে পরিবারের মোট কতজন ইসলাম গ্রহণ করেছেন, খবরে তা বলা হয়নি।
বাবার পেনশনের টাকা, জায়গা-জমি, স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে ৭০ লাখ টাকায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ‘নিঃস্ব’ হয়ে গেছেন তরুণ পরিচালক অরণ্য পলাশ; জীবিকার তাগিদে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করছেন তিনি।‘গন্তব্য’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে লগ্নিকৃত টাকা তুলতে না পেরে চাকরির আশায় নানাজনের কাছে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে মাস দুয়েক আগে মিরপুরের একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ নিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন অরণ্য।কয়েক বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করেছিলেন তিনি; ছবির মূল প্রযোজক সরে যাওয়ায় নিজের প্রযোজনায় ছবিটির নির্মাণ শেষ করেন।
অর্থের অভাবে ছবিটি মুক্তি দিতে পারছেন না; একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে ছবিটি বিক্রির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বিক্রি করতে না পেরে ‘৩০ লাখ’ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ‘বিপর্যস্ত’ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন এ তরুণ নির্মাতা।“একবেলা খাইতাম, আরেক বেলা খাইতাম না। হাত পাততে পারতাম না। কতজনের কাছে চাকরির জন্য ধর্ণা দিয়ছি। কিন্তু কেউই সহযোগিতা করেনি। পরে চিন্তা করলাম, ওয়েটার হিসেবে কাজ করব। মাস দুয়েক আগে থেকেই হোটেলে কাজ শুরু করেছি।“বছর খানেক আগে টিভি, কম্পিউটার-সব বিক্রি করে বাসা ভাড়া দিয়েছি। এখন মিরপুরের এক মেসে থাকি।”
রেস্তোরাঁয় রোজ ১২ ঘণ্টা কাজ করে দিনপ্রতি ২৫০ টাকা রোজগার করে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানালেন তিনি।নিজের ‘দেশাত্মবোধ’ থেকেই ছবিটি নির্মাণের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানালেন অরণ্য পলাশ।“দেশকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটা অন্য রকম লাগে। ভালো লাগার ব্যাপারটা থেকেই ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি বানিয়েছি। পুরো গল্পটাই হচ্ছে দেশবোধকে জাগ্রত করে। সেই দেশই আমাকে না খাইয়ে রাখে, আমি ওয়েটার হিসেবে কাজ করি।”ছবিটি দেখে ভালো লাগলে সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতার আশা করছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।