আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন নগরী ইয়েমেনের প্রায় ২০ লাখ শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)। চলমান সংঘাত দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেও সংস্থাটি জানায়।
ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে দেশটিতে সহিংসতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ শিশু স্কুল ছেড়েছে। আরও ৩৭ লাখ শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কারণ দেশটির শিক্ষকরা দুই বছর কোন বেতন পান না।
ইয়েমেনে ইউনিসেফ প্রতিনিধি সারা বায়েসলো নয়ন্তি বলেন, দেশটিতে বিদ্যমান সহিসংতা, স্থানচ্যুতি ও স্কুলগুলোতে হামলার কারণে অনেক শিশু স্কুলে যেতে পারে না। তারা ভয়ানক নির্যাতনের ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক শিশুকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বাল্যবিবাহে বাধ্য করা হচ্ছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, দেশটির প্রতি পাঁচটি স্কুলের একটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৮ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। হাদির দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইডি শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সাডা প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিরাও তাদের সমর্থন যোগায়। এরপর বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। ক্ষমতা গ্রহণের পরের মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি।
কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।