জুমবাংলা ডেস্ক : কারাগারে থাকা বন্দীদের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিন বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের পরের দিনও দেওয়া হবে সেই খাবার।
আজ শুক্রবার সকালে নামাজের পর পর সেমাই, পায়েশ মুড়ির সঙ্গে দুপুর ও রাতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি কারাগারেই এই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এই কারাগারে প্রায় ৮ হাজার বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ এবং ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। তারা যেন ঈদের দিন আনন্দ উদযাপন ও ভালো খাবার খেতে পারেন সেজন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার বন্দীদের জন্য দুই দিন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে। সকালে নামাজের পরপরই বন্দীদের সেল বা ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রকারের সেমাই, পায়েস সঙ্গে মুড়ি এবং রুটিও দেওয়া হয়। দুপুরে পোলাও-মাংস, সালাতের সঙ্গে যারা গরুর মাংস খান না তাদের জন্য মুরগির ব্যবস্থা করা হয়। এর সঙ্গে পানীয় এবং পান রাখা হয়।
রাতে ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছ দিয়ে খাবার পরিবেশন করা হবে, যা পরের দিনও অব্যাহত থাকবে। মানবিক বিবেচনায় এ কারণে ঈদের পরের দিনও তাদের জন্য এ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে অন্যান্যবার ঈদের দিন স্বজনেরা বন্দিদের জন্য খাবার নিয়ে আসলেও এবার সেটি হবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবার বন্দিদের সঙ্গে ঈদের দিন স্বজনদের সাক্ষাৎ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।