গাজীপুর প্রতিনিধি: জুমবাংলাসহ দেশের বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে উচ্ছেদ হলো শীতলক্ষ্য নদীর উপর শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু ঘোড়াশাল অংশের অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডটি। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদীর পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার সাথে যোগাযোগ সহজিকরণের লক্ষ্যে নির্মিত হয় শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু। সেতুর এপারে কালীগঞ্জ আর ওপারে পলাশ। কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল পৌর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল সেতুর ঘোড়াশাল অংশে অবৈধ সিনএজি স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে। ওই মহলটি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিনধরেই করছে এ চাঁদাবাজি। আর চাঁদার টাকা সংগ্রহের জন্য ঘোড়াশাল অংশে সেতুর ওপর নির্মাণ করেছে একটি ঘরও।
সূত্র আরও জানায়, শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু দিয়ে এই সড়ক হয়ে ঢাকা থেকে নরসিংদী, ভৈরব, বি-বাড়ীয়া ও সিলেটে শত শত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সেতুর ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড থাকার কারণে এই সড়ক প্রায়ই ছোটবড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই স্ট্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় তিনশতাধিক সিএনজি আসা-যাওয়া করে। টঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি সিএনজি এই সেতু অতিক্রম করলেই চালককে গুনতে হয় ৫০ টাকা চাঁদা। তবে চাঁদা না দিলে চাঁদা আদায়কারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ চালকদের। কেড়ে নেওয়া হয় গাড়ীর চাবি। তবে অভিযোগ আছে স্ট্যান্ডের বাইরেও কোন সিএনজি সেতু ও স্ট্যান্ড অতিক্রম করে যেতে চাইলে তাকেও দিতে হয় চাঁদা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুমবাংলায় ‘শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুতে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, চলছে চাঁদাবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়ে । পরে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে চাঁদার টাকা আদায়ের জন্য সেতুর ওপর নির্মিত অস্থায়ী ঘরটি ভেঙে ঘুড়িয়েদেওয়া হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। আর নজরে আসার পরসঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে সেতুর ওপরে বসানো অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়।
তাছাড়া ওই সেতুর ওপর নির্মিত একটি ঘরও ভেঙেঘুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।