জুমবাংলা ডেস্ক: উজানের ঢলে বুধবার নীলফামারীর তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সকাল ৯টায় ১৮ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বিকাল তিনটায় ২২ সেন্টিমাটর কমে বর্তমানে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ওই পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহের বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। ঢলের পানি প্রবাহকে সামাল দিতে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
নদীর পানি বাড়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিমছাতনাই, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, নদীর পানি বৃদ্ধিতে তার ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। একইভাবে উপজেলার নদীতীরবর্তী ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে।’
তবে, দুপুরের পর থেকে নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ওই সব গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে, বলে জানান তিনি।
বন্যাপূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীর পানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ৯টার দিকে বিপদসীমা অতিক্রম করে বুধবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর থেকে নদীর পানি কমে বিকাল ৪টার থেকে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।