করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী ও মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহানের সব অস্থায়ী হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে চীন। মঙ্গলবার চীনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার বরাতে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
জানা যায়, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় উহানের সরকারি জিমনেসিয়াম, প্রদর্শনী কেন্দ্র ও কয়েকটি ইনডোর স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করে শহর কর্তৃপক্ষ। শহরের বিভিন্ন স্থানে এরকম ১৬টি হাসপাতাল তৈরি করা হয়।
শহরের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করে এর নামকরণ করা হয় জিয়ানহান হাসপাতাল। এক হাজার ৫৬৪ বেডের এই হাসপাতালটি অস্থায়ী হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। গতকাল সোমবার এটি বন্ধ করে দেয় শহর কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৩টায় হাসপাতাল থেকে শেষ ব্যাচের ৩৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেলে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
রয়টার্স বলছে, এসব অস্থায়ী হাসপাতালগুলোতে চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ২১টি মেডিকেল টিম ও উহানের ৬টি হাসপাতালের কর্মীরা কাজ করেছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া এসব হাসপাতালে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১২ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন।
উহানে ভাইরাসের কারণে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসায় এসব অস্থায়ী হাসপাতালগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে এখানে যারা এতদিন কর্মরত ছিলেন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, সোমবার চীনে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। মারা গেছেন ১৭। মৃত্যুর ঘটনাগুলো সব উহানের।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ভাইরাসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ১৬ জন। অন্যদিকে, আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩ হাজার মানুষ। মৃতদের মধ্যে তিন হাজারের বেশি চীনের বাসিন্দা। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি চীনা নাগরিক। সুস্থদের মধ্যেও ৬০ হাজার মানুষ চীনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।