বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নানা ধরনের কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে আগ্রহী হতে পারে। তবে, অনেকটা হঠাৎ করে আলোড়ন তৈরি করা এই প্রযুক্তি নিয়ে সমস্যাতেও পড়ছে অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক কোম্পানি ‘ক্যারথারস অ্যান্ড জ্যাকসন’স ডেটা ম্যাচিউরিটি সূচক অনুসারে, ডেটা নিয়ে কাজ করেন এমন ৮৭ শতাংশ জ্যেষ্ঠ কর্মী জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের অল্প সংখ্যক কর্মীই এআই ব্যবহার করছেন আর কেউ কেউ একেবারেই করছেন না।
অনেক প্রতিষ্ঠান এআইয়ের কারণে তৈরি হওয়া জড়তায় ভুগছে যাকে বলা হচ্ছে এআইজনিত প্যারালাইসিস। আর মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভালো মানের এআই সক্ষমতা, শক্তিশালী এআই বিভাগ ও এআই প্রক্রিয়া নিয়ে গর্ব করে বলে উঠে এসেছে ডেটা নিয়ে কাজ করেন এমন জ্যেষ্ঠ কর্মীদের নেওয়া মতামতে।
“প্রতিটি নতুন প্রযুক্তির ন্যায্যতা, শাসন এবং গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য সময় লাগে।,” জেডডিনেটকে বলেছেন কোম্পানিটির সিইও ক্যারোলাইন ক্যারথারস।
“আমরা সবাই এই যাত্রায় আছি৷ এখন আমাদের কাছে আগের তুলনায় অনেক বেশি তথ্য রয়েছে। তথ্য আমাদের ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
ধীর গতির বিভিন্ন কোম্পানিতে এআই যোগ করা ও বর্তমানের এআই জড়তা কাটানোর প্রথম ধাপ হিসেবে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ৪টি পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারথারস।
উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করা – একজন ব্যক্তি কী করতে চান? কোম্পানি ঠিক কোন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে, এবং কী ধরনের সুযোগ রয়েছে সামনে? এগিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরনের কিছু কারণ দরকার হয়। চিন্তার দিক থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে সর্ব প্রথম উদ্দেশ্যের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারথারস।
লক্ষ্যভিত্তিক ফলাফলের দিকে নজর দেওয়া – লক্ষ্য অনুসারে সবচেয়ে ছোটো কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব সেটি নিয়ে ভাবা উচিত, বলেছেন এ বিশেষজ্ঞ। জেডডিনেট লিখেছে, কেউ এআই এর কথা বললেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুনতে হয় ‘যত বড়, তত ভালো’। তা-ই যদি হয়, তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি? পৃথিবীর সব জায়গায় যুদ্ধ কী থামিয়ে দেওয়া সম্ভব? এর বদলে সবচেয়ে ছোট সমস্যায় নজর দিয়ে পার্থক্য তৈরি করে তারপর সেটিকেই মডেল হিসেবে ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারথারস।
সাফল্য নিয়ে কথা বলা – তথ্য নিয়ে কাজ করা লোকজন চলতি কাজ সবাইকে জানাতে খুব একটা পারদর্শী নন বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। বরং, তারা ভাবেন তাদের কাজ কতটা বাকি আছে। এ অভ্যাসটিই বদলে কাজের সাফল্য নিয়ে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারথারস।
সাফল্য প্রমাণে তথ্য ব্যবহার করা – মানুষকে প্রকল্পের ফলাফল দেখাতে হবে, যুক্তিসঙ্গত উপায়ে। প্রকল্পটি কাজ করেছে? এআই কি যা করার কথা ছিল সেগুলো করতে পেরেছে? না কি আরও দ্রুত ও ভালোভাবে শেষ করা যেত? এ ধরনের মেট্রিক্স বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারথার্স, যাতে পরবর্তী প্রকল্পে এগুলো আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।
এ চারটি অগ্রাধিকারের ওপর নজর দিলে একটি কোম্পানির এআই গতিবেগ তৈরিতে সাহায্য করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে জেডডিনেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।