Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home এই প্রাসাদে সাড়ে চার শ বছর ধরে চলছে কোরআন তিলাওয়াত
    ইসলাম ধর্ম স্লাইডার

    এই প্রাসাদে সাড়ে চার শ বছর ধরে চলছে কোরআন তিলাওয়াত

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJune 13, 20213 Mins Read
    Advertisement

    তোপকাপি প্রাসাদের ‘হিরকায়ে সাদেত দাইরেজিতুরস্কের বিখ্যাত লেখক ও কবি ইয়াহইয়া কামাল বায়াতলি (১৯২০ সালে) বলেছিলেন, ‘আমি একটি সত্য উদঘাটন করেছি। তা হলো এই রাষ্ট্র দুটি নৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে : এক. আজান। সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের নির্দেশে আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদের মিনারে যা ধ্বনিত হয়েছিল এবং তা এখনো ধ্বনিত হয়; দুই. কোরআন তিলাওয়াত। সুলতান প্রথম সেলিম তোপকাপি প্রাসাদের ‘হিরকায়ে সাদেত দাইরেজি’-তে (সৌভাগ্যের স্মৃতিস্মারক সংরক্ষণ কক্ষ) যা তিলাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানেও তা তিলাওয়াত করা হচ্ছে।

    সাড়ে চার শ বছর ধরে চলছে কোরআন তিলাওয়াত : তুরস্কে উসমানীয়রা ছয় শ বছরের বেশি সময় শাসন করেন। এই দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে কোরআনের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। বিশেষত তুর্কি শিল্প-সাহিত্যেও কোরআনের প্রভাব অত্যন্ত স্পষ্ট। কোরআনের প্রতি তুর্কি শাসকদের ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন হলো চার শ বছর ধরে কোপকাপি প্রাসাদে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অবিরতভাবে কোরআন তিলাওয়াত হওয়া, যা ১৫১৭ সালে শুরু হয়। ১৯২৩ সালে তুর্কি রিপাবলিক ঘোষণার পর থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। মধ্যবর্তী এই ৪৬ বছর ছাড়া সাড়ে চার শ বছরেরও বেশি সময় রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কোরআন তিলাওয়াত হচ্ছে তোপকাপি প্রাসাদে।

    নবীপ্রেম থেকেই তিলাওয়াত : কোরআনের প্রতি যে ভালোবাসার কারণে চার শ নিরবচ্ছিন্নভাবে তাঁর তিলাওয়াত হয়েছে, তার পেছনে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা। মূলত কোরআন ও নবীপ্রেম উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্যতম আধ্যাত্মিক অবলম্বন। সুলতান প্রথম সেলিম, যিনি নিজেকে মক্কা-মদিনার সেবক হিসেবে পরিচয় দিতেন। যখন মামলুকদের পরাজিত করে মিসর জয় করেন, তখন মক্কা ও মদিনা তাঁর শাসনাধীন হয়। মক্কা ও মদিনার তৎকালীন আমির শরিফ আবু নুমাই ইবনে আবুল বারাকাত সুলতান সেলিমের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন এবং পবিত্র দুই নগরীর চাবিও পাঠিয়ে দেন। শরিফ আবু নুমাই চাবির সঙ্গে ইসলামের প্রাথমিক যুগের কিছু নিদর্শনও পাঠান। দাবি করা হয়, এগুলো মহানবী (সা.) ও তাঁর কয়েকজন সাহাবির স্মৃতিস্মারক।

    মক্কা-মদিনার আমিরের আনুগত্য ও পবিত্র দুই মসজিদের খুতবায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সুলতান প্রথম সেলিম অত্যন্ত আনন্দিত হন। তিনি মিসরে থাকতেই শরিফ আবু নুমাইয়ের উদ্দেশে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন পাঠান। ব্যক্তিগত উপহারের পাশাপাশি তিনি মক্কা ও মদিনার অধিবাসীদের জন্য সোনার দুই লাখ টুকরা (সম্ভবত মুদ্রা) ও খাদ্যশস্য ভর্তি একাধিক জাহাজ প্রেরণ করেন। সুলতান সিদ্ধান্ত নেন ‘স্মৃতিস্মারক’গুলো ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসবেন। এগুলো মূলত মামলুক শাসকদের সংরক্ষণে ছিল এবং ইস্তাম্বুলে আনা কিছু স্মারক কায়রো ও সিরিয়া থেকেও সংগ্রহ করা হয়েছিল।

    যেভাবে তিলাওয়াতের সূচনা : সুলতান স্মৃতিস্মারক জাহাজে ওঠানো থেকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছানো পর্যন্ত দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কোরআন তিলাওয়াতের নির্দেশ দিলেন। সুলতান নিজেও তিলাওয়াতে অংশ নেন। ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর পর তোপকাপি প্রাসাদে নিজের একান্ত কক্ষের সঙ্গে লাগোয়া কক্ষে স্মারকগুলো সংরক্ষণ করেন। তিনি সেখানে সার্বক্ষণিক কোরআন তিলাওয়াতের নির্দেশ দেন। তুর্কি প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর প্রায় ৫০ বছর কোরআন তিলাওয়াত বন্ধ ছিল। ১৯৬৯ সালে তুর্কি ঐতিহাসিক ও সংগীতজ্ঞ ইলমাজ ইজতুনা—যিনি ‘মানুষের ভালোবাসার স্রষ্টা’ নামে পরিচিত, তিনি যখন ‘ডেপুটি’ নির্বাচিত হন, তখন সরকারের সমর্থনে পুনরায় কোরআন তিলাওয়াতের ধারা শুরু হয়। বর্তমানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে।

    সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব : দরবারে সুলতানের উপস্থিতিতে কোরআন তিলাওয়াত ও তার ব্যাখ্যা করা হতো। কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর অলংকরণ করা হতো। কোরআনের প্রতি সুলতানদের ভালোবাসার প্রভাব পড়েছিল জনসাধারণের ওপর। ফলে তুরস্কে কোরআনের অনুলিপি ক্যালিগ্রাফিশিল্পে উন্নীত হয়েছিল। গর্ভবতী নারীর পাশে বসে সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত করা হতো, যেন তার প্রভাব ও বরকত সন্তানের ওপর পড়ে। শিশুরা চার বছর বয়স থেকে পরিবারে কোরআনের পাঠ শুরু করত। শিশুরা প্রথম কোরআন পাঠ সম্পন্ন করলে তাকে অভিনন্দন জানাতে ‘আমিন আলাই’ বা ‘হাতিম’ নামক উৎসবের আয়োজন করা হতো।

    ডেইলি সাবাহ অবলম্বনে

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প

    সেনাপ্রধানের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিবের সাক্ষাৎ

    July 8, 2025
    Bonna

    তলিয়ে গেল ফেনী, মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

    July 8, 2025
    ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি

    ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

    July 8, 2025
    সর্বশেষ খবর
    দ্বীপ

    ভারতের কোন দ্বীপে গেলে কেউ আর বেঁচে ফেরে না? জানলে অবাক হবেন

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুর সেরা ওয়েব সিরিজ এটি, রোমান্স ও নাটকীয়তায় ভরপুর!

    rain

    এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

    ছেলে

    কোন বয়সী মেয়েদের কেমন ছেলে পছন্দ

    অপটিক্যাল ইলিউশন

    ছবিটি জুম করে দেখুন প্রথমে পাহাড় দেখছেন নাকি মুখ? জেনে নিন আপনি কেমন মানুষ

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হলো সম্পর্কের টানাপোড়েন ও নাটকীয়তা নিয়ে সেরা ওয়েব সিরিজ!

    Taka

    জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল

    Malaysia

    মালয়েশিয়ায় পেশাদার প্রবাসীর সংখ্যা জানালেন দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক

    Web Ser

    উচ্চ নাটকীয়তায় ভরপুর সেরা ওয়েব সিরিজ, রোমান্সে পরিপূর্ণ!

    Android security updates

    অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আপডেট দিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.