প্রতি বছর পৃথিবীতে কিডনির সম্যায় অনেক মানুষের মৃ ত্যু হয়। কিডনির পাথর খুবই ভ’য়ংকর একটি রোগ। প্রতি বছর পৃথিবীতে ক্যানসারের চেয়ে বেশি মানুষের মৃ ত্যু হয় কি’ডনির সমস্যায়। কি’ডনি সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ কিডনি স্টোন। তবে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে একটি মাত্র ফল। যে ফলের রসে অপারেশন ছাড়াই গলবে কি’ডনির পাথর। হ্যাঁ, বিনা অপারেশনেই আধাকাপ লেবুর রসে কিডনির পাথর দূর হবে। এই ফলটির মূল্য খুব কমে আর পাওয়াও যায় সহজেই। চলুন জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে কিছু তথ্য-
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ:
অতিরিক্ত মাংস খেলেই বি’পদ।
কম পানি খেলে এই সমস্যা হয়।
কম সবজি খেলেও সমস্যা হয়।
বেশি লবণ খাওয়া ক্ষ’তিকর। এর ফলেও পাথর হয়ে থাকে।
বংশগত কারণেও কি’ডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা থাকে।
মাঝে মাঝে ডিহাইড্রেশন হলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে।
ইউরিন ইন’ফেকশন হলেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে।
মাইগ্রেনের জন্য ব্যবহৃত টপিরামেট জাতীয় ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ওজন বাড়লেও মা’রাত্মক বি’পদ। কারণ ওজন বাড়াও এই রোগের ঝুঁ’কি বাড়ায়।
কিডনির ভেতরের এই পাথরগুলো মূত্রনালির মাধ্যমে মূত্রথলিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। পাথর যখন সংকীর্ণ নালির মধ্যে দিয়ে যায়, তখন প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কখনো কখনো নালিটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় অপারেশন ছাড়া পথ থাকে না।
কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব হাউস্টনের গবেষকরা বলছেন, লেবুর রসে হতে পারে মুশকিল আসান। লেবুর রসে হাইড্রক্সিসিট্রেট থাকে। এটা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টালের কারণেই প্রধানত কিডনিতে পাথর হয়।
গবেষকরা বলছেন, দিনে দুবার ৪ আউন্স পাতিলেবুর রস খেতে হবে। ৩২ আউন্স টাটকা লেমোনেডও খাওয়া যেতে পারে। ২ আউন্স লেবুর রসের সঙ্গে ৬ আউন্স পানি মিশিয়ে নিতে হবে। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে এবং রাতে শোয়ার আগে লেবুর রস খেতে হবে। এতেই কিডনির পাথর গলে যাবে। শুধু কিডনির স্টোনই নয়, লেবুর রসে আরো অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
শক্তি বাড়ায় লেবুর রস।
লি’ভার পরিষ্কার রাখে।
ভাইরাসজনিত সং’ক্রমণ প্রতিরোধ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লেবুর রস।
ত্বক পরিষ্কার রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মূ’ত্রনালির সংক্রমণ দূর করে।
চোখ ভালো রাখে।
দাঁতব্যথা কমায়।
গর্ভবতী নারী ও গর্ভের শিশুর জন্য ভীষণ উপকারি।
স্ত’ন ক্যা’নসার সারাতে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।