জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন তার প্রথম স্ত্রী শামসুন নাহার সুইটি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই নারী।
এ বিষয়ে শামসুন নাহার সুইটি বলেন, বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন সিএমপিতে পিএসআই পদে কর্মরত ছিলো। সে সময় আমার বাবার কাছে থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সে ৫ লাখ টাকা ধার নেয়। সেই টাকা আজও পরিশোধ করেনি। এছাড়া আমার নিজের ৩০ ভরি স্বর্ণলংকারও নিয়ে গেছে সে। ২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা আক্তার পান্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এক মেয়েকে আমার অজান্তে বিয়ে করে সালাহ উদ্দিন। সেখানেও একটি সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৮-৯ মাস ধরে কুমিল্লা কোতয়ালী থানা এলাকার আজমিরি খন্দকার ওরফে পপি আক্তার মেরি নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। এখন শুনছি তাকেও নাকি বিয়ে করেছে। এভাবে একাধিক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে সে আমাকে মারধর করে ১১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। সে বলছে, ১১ লাখ টাকা দিলে দ্বিতীয় স্ত্রী পান্নাকে বিদায় করে দিবে। আর টাকা না দিলে আমাদের বাসা থেকে বের করে দিবে। সে এখন বাচ্চাদের এবং সংসারের কোন খরচও দেয় না।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন বলেন, আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ আদালত শুনানি শেষে মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি এই তদন্তে বাদিপক্ষ ন্যায় বিচার পাবে।
এদিকে এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখনো আদালতের নোটিশ কিংবা মামলার কপি কোনটিই হাতে পাইনি। আদালতের আদেশের কপি পেলে এই বিষয়ে কথা বলবো। তবে এখন এই বিষয়ে কোন কিছুই বলতে চাই না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।