জুমবাংলা ডেস্ক: এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগ উদ্বোধন করেন এবং গণপূর্ত বিভাগ সাত মাস আগে ভবন নির্মাণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়। অথচ যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবেই চালু হচ্ছে না বিভাগটি। খবর ইউএনবি’র।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলাদা কোনো আইসিইউ বিভাগ নেই। হাসপাতালের ৩য় তলায় পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটের চারটি বেড আইসিইউ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে সাড়ে ১১ কোটি টাকা টাকা ব্যয়ে খুমেক হাসপাতালের পূর্ব পাশ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মাঝে নির্মাণ করা হয় স্বতন্ত্র আইসিইউ ভবন। দ্বিতলা বিশিষ্ট এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ৪টি কেবিন, ১০টি আইসিইউ, ১৬টি পোস্ট অপারেটিভ বেডসহ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ সেবা। নিচ তলায় রয়েছে অতি জরুরি সার্জারি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য ইমার্জেন্সি সার্জারি ইউনিট।
২০১৮ সালে ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে ৯৫ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই এই আইসিইউ ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। কাজ সম্পন্ন করে গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে ভবন বুঝে নেয় খুমেক কর্তৃপক্ষ। তবে জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে এই ভবন চালু হচ্ছে না। জনবল নিয়োগের জন্য ১৪৪ জনের একটি চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বছরের পর বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ জনবল দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে আইসিইউ বিভাগ চালুর পেছনে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, খুব অল্প সময় চাকরি আছে, এখন আইসিইউ ভবনটি ভালোভাবে চালু করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এর পেছনেই সারাদিন সময় ব্যয় করি।
অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ভবন বুঝে পেয়েছি ছয় মাসের বেশি সময়। মন্ত্রণালয়ে জনবল ও যন্ত্রপাতি চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাচ্ছি না। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজের নিয়মিত কিছু যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি কেনার জন্য চাহিদা দিয়েছি। সেগুলো যদি পাই তাহলে জনবল যা আছে তাই দিয়ে শুরু করে দেবো। যে কোনোভাবেই আইসিইউ বিভাগ চালু করতে চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।