জুমবাংলা ডেস্ক : পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে পুলিশ সদস্য প্রেমিক। বিয়েতে চাপ দিলে তড়িঘড়ি নোটারি পাবলিকে এফিডেভিটে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করলেও শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নিয়ে সতের দিন পর বেমালুম অস্বীকার করে সম্পর্ক ছিন্ন করে ওই প্রেমিক।
এ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো বিচার না পেয়ে আজ রবিবার রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানায় প্রতারণা করে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওই প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রেমিকা।
প্রতরাণার শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। আজ রবিবার বিকেলে তিনি জানান, জেলার একটি উপজেলার সরকারি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে নিজ গ্রামের পাশে একটি গ্রামে।
বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মো. আশিক মাহমুদ পুষ্পের সঙ্গে। পুষ্প পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করেন। তিনি তাঁকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে বিয়েতে রাজী করায়। কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে না করে একটি এফিডেভিট করে সময় মতো বিয়ে করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ৪ অক্টোবর ময়মনসিংহের নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে ওই এফিডেভিটটি নিবন্ধিত (নং-৬৬৩) হয়।
কলেজছাত্রী জানান, এক পর্যায়ে ওই এফিডেভিটের বদৌলতে পুষ্প তাঁর বাড়িতে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করতে থাকে। কিন্তু তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন পুষ্পকে বার বার চাপ দেয় কাজী ডেকে বিয়েটি রেজিস্ট্রি করার জন্য। কিন্তু তাঁর অসুস্থ মা সুস্থ হলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার কথা বলে চলে যান। এরপর তিনি বিয়ে করার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকেন। ছাত্রী আরো বলেন, তিনি যৌতুক দাবি করা প্রসঙ্গে পুষ্পকে ফোন করলে সে এক পর্যায়ে সবকিছু অস্বীকার করে নানা প্রকার হুমকি ধামকি দিতে থাকেন।
ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। মেয়ের এই সমস্যার কারণে তিনি চাকরি ছেড়েছেন। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার মানসম্মান সব শেষ করে দিয়েছে ওই আশিক মাহমুদ পুষ্প। একজন কনস্টেবল হয়ে বিয়ের নামে আমার মেয়ের চরম সর্বনাশ করেছে। এখন সে পুলিশি দাপট কাজে লাগাচ্ছে।
আমি পুষ্পের চাকরিস্থলসহ পুলিশের সিকিউরিটি সেল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অভিযোগের তদন্ত মাঝপথে থেমে গেছে। ছাত্রীর বাবা প্রশ্ন করে বলেন, পুলিশ বাহিনী কেন একজন অপরাধীর দায় নিচ্ছে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। সাধারণ মানুষ কি তাহলে ন্যায় বিচার পাবে না।
এ বিষয়ে আশিক মাহমুদ পুষ্প জানান, কলেজছাত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীকে আত্মীয় হিসেবে চিনেন। এর চেয়ে অন্য কিছু না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মেদ কবীর হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী থানায় এজাহার দিয়েছেন। এজাহারটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের প্রতারণা করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সূত্র : কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।