জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের টাকায় ছাগল পালন করে পঞ্চমবারের মতো তার নামে কোরবানি দিলেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তাপাড়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কৃষক মোজাম্মেল হক আকন্দ (৬৬)।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের বাড়িতে কোরবানি দেন তিনি।
মোজাম্মেল হক হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত কেরামত আলী আকন্দের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে তিস্তা নদীর ভাঙনে জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন মোজাম্মেল। কোনো উপায় না পেয়ে সাহায্যের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। পরে প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন। অনুদানের ১৭ হাজার টাকায় ঘর-বাড়ি মেরামত করেন তিনি। বাকি ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কেনেন মোজাম্মেল।
বর্তমানে মোট আটটি ছাগল রয়েছে তার। সেই ছাগল থেকে প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি করে ছাগল কোরবানি দেন।
মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকায় আমি বাড়িঘর মেরামতের পর বাকি অংশ দিয়ে একটি ছাগল কিনি। সেই সময়ে নিয়ত করি, এ ছাগলের বাচ্চা হওয়ার পর প্রতিবছর সেখান থেকে একটি করে ছাগল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে কোরবানি দেই।
তিনি আরও বলেন, আমার কষ্টের সময় কেউ ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পাশে ছিলেন। আমি বেঁচে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একবার স্বচক্ষে দেখতে চাই।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা গড্ডিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলিজা বেগম বলেন, মোজাম্মেল হক নদীভাঙনের সময় বিপদে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সহায়তার কথা মনে রেখে প্রতিবছর খাসি কোরবানি দেন।
হাতীবান্ধা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, কর্মব্যস্ততার জন্য পশু কোরবানির সময় উপস্থিত থাকতে পারিনি। মোজাম্মেল হক পাঁচ বছর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি করে ছাগল কোরবানি দিয়ে আসছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাতীবান্ধার উপজেলা গড্ডিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলিজা বেগম। এর আগেও আকন্দ প্রধানমন্ত্রীর নামে খাসি কোরবানি দিয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।