স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২০ টোকিও অলিম্পিক শুরুর ঠিক সাত মাস আগে ডোপিংয়ের দায়ে ভারতের পাঁচ ক্রীড়াবিদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল দেশটির ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা। এই নিষেধাজ্ঞায় অলিম্পিকে তাদের অংশ নেওয়ার স্বপ্ন কার্যত শেষ। দেশটির আরও বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ সন্দেহের তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে।
নিষিদ্ধ পাঁচ ক্রীড়াবিদের মধ্যে একজন শ্যুটার, একজন বক্সার ও তিনজন ভারোত্তোলক।
সাধারণত শ্যুটারদের বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ ওঠার দৃষ্টান্ত বিরল। সেক্ষেত্রে ২৯ বছরের শ্যুটার রবি কুমারকে ব্যতিক্রম বলা যেতে পারে। উল্লেখ্য গত বছর গুয়াডালাজারা বিশ্বকাপ ও কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের হয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন রবি কুমার। নাডা সূত্রে খবর, দিল্লিতে কুমার সুরেন্দ্র সিং মেমোরিয়াল মিট চলার সময় ভারতীয় শ্যুটারের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, নিষিদ্ধ প্রোপানোলোল নিয়েছেন রবি।
রবি এই ওষুধ নেওয়ার ব্যাপারে যে কারণ দর্শীয়েছেন, তা নাডা ও দেশের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি।
অন্যদিকে ২০১৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য জয়ী তথা ২০১৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছনো ভারতীয় বক্সার সুমিত সাঙ্গোয়ানের শরীরে নিষিদ্ধ লিংগানড্রোলের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে নাডা সূত্রে খবর। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুমিত।
২০১৭ সালে কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য জয়ী নারী ভারোত্তোলক সীমাকে ডোপিংয়ের অভিযোগে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের জুনিয়র কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী নারী ভারোত্তোলক পূর্ণিমা পাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চার বছরের পরিবর্তে দুই বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে।
৯১ কেজি বিভাগের ভারতীয় ভারোত্তোলক মুকুল শর্মাকে ডোপিংয়ের অভিযোগে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নাডা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।