জুমবাংলা ডেস্ক : আগের দিনের তুলনায় গতকাল দেশে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও সূর্যের দেখা পাওয়া গেছে। কমেছে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতিও। আগের দিন শনিবার দেশের ১১ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও গতকাল তা নেমে এসেছে চার জেলায়।
বজলুর রশিদ বলেন, দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল সূর্যের দেখা মিলেছে। আজ পরিস্থিতির আরেকটু উন্নতি হতে পারে, কমবে শীতের তীব্রতা। তবে ঢাকায় আজও দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বেশি।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে গেছে। আজ তা কোনো কোনো অঞ্চলে কমে আসতে পারে।
দিনে সূর্যের দেখা মিলছে না, ব্যাহত স্বাভাবিক জীবন
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক ও মাঠঘাট। রাতেও বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, সঙ্গে বইছে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল।
তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। শহরের মিস্ত্রিপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রিদের সরদার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে, শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না।
বীজতলায় চারা প্রস্তুত হলেও বোরো চাষ শুরু করতে পারেননি এই জেলার কৃষকরা। সদর উপজেলার বালুপাড়া গ্রামের আবুজার হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না।
উত্তরের আরেক জেলা রংপুরে ঘন কুয়াশার ও হিমেল হাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। পাঁচ দিন ধরে বেশির ভাগ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, সরকারিভাবে প্রায় ৬০ হাজার কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছেন না। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের অনেকেরই উপার্জন কমে গেছে। কনকনে ঠাণ্ডায় কৃষকরা কাদাপানিতে নেমে ধান রোপণ করতে পারছেন না।
নওগাঁর বদলগাছীতে তিন দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার পর থেকেই বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে রাস্তাঘাট। সকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে।
কুড়িগ্রামে টানা ছয় দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। হিমেল হাওয়া, মেঘলা আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে ঠাণ্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনপদ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আতিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চার দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছে দরিদ্র মানুষ। নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরদার মো. ফজলুল করিম বলেন, সরকারিভাবে একটি পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে তিন হাজার ১২০টি কম্বল জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। তবে চাহিদা অনেক বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।