জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। রবিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে শুনানী শেষে মামলাটি দ্রুত বিচার বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) রাশিদা সাইদা খানম।
পিপি রাশিদা সাইদা খানম সংবাদিকদের জানান,গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলা ও ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীর কাছে চাঁদাদাবি এবং ছিনতাইয়ের অপর মামলাটি একসাথে একই আদালতে বিচারকাজ শেষ করতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের আদেশের পর মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নথিপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
গত ১৭ জানুয়ারী আট আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছরের তিন ডিসেম্বর মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী সাইফুরসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত আর দুইজনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরাসরি জড়িত অভিযুক্তরা হলেন- প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি,তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। আর সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে। ডিএনএ টেস্টেও গ্রেপ্তার আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় পরদিন সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুই/তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।