জুমবাংলা ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ রংপুরে নেওয়া হবে। ওইদিন বাদ জোহর রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তার চতুর্থ জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে রংপুরের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে মরদেহ।
রবিবার সকালে এরশাদের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর রংপুরে শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়। দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের হৃদয় এরশাদের প্রয়াণ শোকাতুর করে তোলে। শেষবারের মতো প্রিয় নেতাকে একনজর দেখা আর অন্তিম যাত্রায় বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির দুর্গ খ্যাত রংপুরের মানুষ।
এদিকে এরশাদের মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতার জন্য রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। দুপুর থেকে মাঠে প্যান্ডেল নির্মাণ, মাইক সংযোগ স্থাপন ও মাঠ পরিষ্কার করা হচ্ছে। শোক প্রকাশ করে নগরজুড়ে চলছে জানাযায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মাইকিং। দলীয় নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করার পাশাপাশি কার্যালয়ে উত্তোলন করা হয়েছে কালো পতাকা।
পাড়া-মহল্লার মসজিদ মাদরাসাতে এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে চলছে দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম। জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়সহ নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে মাইকে কোরআন তেলাওয়াত প্রচারের পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করে ব্যানার ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে।
দাফন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ রংপুরবাসী চাইছেন রংপুরেই হোক এরশাদের শেষ ঠিকানা। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে চলছে নানা রকম মন্তব্য। শেষ পর্যন্ত সাবেক এই রাষ্ট্রপতির কোথায় দাফন হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
রবিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি এরশাদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।