ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্যকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। ফাইবার শুধুমাত্র হজমে সাহায্য করে না, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের পরিচিত এমন অনেক ফল আছে যা উচ্চ ফাইবারযুক্ত। সেগুলো কেবল সুস্বাদুই নয় বরং স্বাস্থ্যকরও। সেসব ফল নিয়মিত খেলে প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায় সেইসঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে চাইলে কোন ফলগুলো খাবেন-
১. পেয়ারা
গাঢ় সবুজ রঙের এই ফল হলো প্রোটিন এবং উচ্চমানের ফাইবারের পাওয়ার হাউস। পেয়ারা খেলে তা হজমে সহায়তা করে, বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। তাই যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য এটি একটি উপকারী খাবার হিসেবে কাজ করতে পারে। ম্যাক্রোবায়োটিক নিউট্রিশনিস্ট এবং হেলথ প্র্যাকটিশনার শিল্পা অরোরার মতে, পেয়ারা একটি কম জিআই ফল এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাছাড়া, ফলটি নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড পরিবারের একটি বিশিষ্ট সদস্য। একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় প্রায় ৫২ ক্যালোরি এবং সামান্য ফ্যাট থাকে।
২. কলা
কলায় থাকা পটাসিয়াম শরীরের নানাভাবে উপকার করে। এছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ কলা ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। একটি মাঝারি আকারের কলায় আনুমানিক ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা একটি শক্তি বৃদ্ধিকারী নাস্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। কলায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৩. আপেল
প্রতিদিন একটি আপেল শুধুমাত্র ডাক্তারকে দূরে রাখে না বরং অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন দূরে রাখতেও সাহায্য করে। আপেলে থাকা ফাইবার হজম নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাদ্যের চর্বি শোষণে সহায়তা করে। সকালের নাস্তার সঙ্গে আস্ত আপেল বা আপেলের টুকরো খেতে পারে। আপেল হলো উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার যা আপনার মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সাহায্য করে। ফলে চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এর ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) অনুসারে, একটি মাঝারি আকারের আপেলে প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা নারীদের জন্য প্রস্তাবিত ফাইবার গ্রহণের ১৬ শতাংশ এবং পুরুষদের জন্য ১১ শতাংশ।
৪. আম
মিষ্টি স্বাদের হলেও আম আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় একটি কার্যকরী ফল হতে পারে। ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম সমৃদ্ধ আম হজমে সাহায্য করে এবং ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। আম কেটে খান কিংবা স্মুদি তৈরি করে, এটি শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি পৌঁছে দেবেই। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) অনুসারে, একটি ১০০ গ্রাম আমে ৬০ কিলোক্যালরি থাকে। আমাদের দৈনন্দিন ক্যালোরি গ্রহণ প্রধানত আমাদের বয়স, লিঙ্গ, ওজন, এবং কার্যকলাপ স্তরের উপর নির্ভর করে। USDA অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিনের ক্যালোরির চাহিদা ১,৬০০ থেকে ৩,০০০ পর্যন্ত। খোসা ছাড়া একটি আম প্রায় ২০০ ক্যালোরি দেয়, যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয় গড় প্রতিদিনের ক্যালোরির প্রায় ১০ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।