নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্মাণাধীন ভবনে ওয়াসা বিলের হয়রানি বন্ধ এবং নতুন ট্যারিফ এর দাবিতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) ওয়াসা কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে রিহ্যাব এর পক্ষে প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকে রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ এবং রিহ্যাব পরিচালক ইঞ্জি. মোঃ মহসিন মিয়া, মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্ ও মোঃ আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন ।
বৈঠকে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ওয়াসা বিলে দুইটি ট্যারিফ রয়েছে অর্থাৎ আবাসিক ও বাণিজ্যিক। নির্মাণাধীন প্রকল্পে বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হয়, কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পের পানি ব্যবহার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার একই ধরনের নয়। এজন্য নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য আবাসিক ও বানিজ্যিক ট্যারিফের মাঝামাঝি রেট নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।
মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খালি প্লটে নির্মাণকালীন সময়ে স্যুয়ারেজ লাইন থাকে না এবং পুরাতন স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণকালীন সময়ে সুয়্যারেজ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঐ সময়ে অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হয়। এইসব ক্ষেত্রে যেখানে ব্যবহৃত পানি সুয়্যারেজ লাইনে প্রবেশের কোন সুযোগ থাকে না তথাপি ওয়াসাকে নির্মাণকালীন সময়ে স্যুয়ারেজ ব্যবহার না করেও দ্বিগুন হারে বিল পরিশোধ করতে হয় যা যুক্তিযুক্ত নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য স্যুয়ারেজ বাদে বিল ইস্যু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আবাসিক বাড়ি ভেঙ্গে নির্মাণ কাজ শুরু করলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক রেটে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ইস্যু করে কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার শুরু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক বিল ইস্যু করা হয় না। এক্ষেত্রে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য আবেদন করলে ছাদ মাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করে গ্রাহককে হয়রানী করা হয় ও অবৈধ সুবিধা দাবী করা হয় এবং উক্ত দাবী পূরণ না করলে মাসের পর মাস বানিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধে বাধ্য করা হয় যা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব, নির্মাণ কাজ শেষে ভবনের ছাদমাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করার বিষয়টি বাতিল করার জন্য দাবি জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।
বর্তমানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত মিটারগুলো খুবই নিম্নমানের অসাধু রিডিংম্যান এই সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো বিল ধরিয়ে দেয় অথবা কিছু অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রিডিং কম দেখিয়ে বিল ইস্যু করেন এবং ইহাতে সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি গ্রাহকগণও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানানো হয়।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নির্মাণ কাজ করলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমত বিল ইস্যু করে এবং উক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়। যেহেতু এখানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোন লাইনই নাই সেহেতু কোনভাবেই এই বিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় ওয়াসা বিল না করার নির্দেশ প্রদানের জন্য দাবি জানান রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান আন্তরিকার সাথে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দের দাবি শুনেন। তিনি বলেন, ওয়াসার নতুন বোর্ড গঠিত হলে বিয়টি এজেন্ডা আকারে উপস্থাপন করবেন এবং সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নিবেন বলে রিহ্যাবকে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।