আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি আশ্রমে করোনা ভাইরাসের ওষুধ খাওয়ানোর নাম করে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক ধর্মগুরুকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তর প্রদেশের মুজাফফরগরের গদ্য মঠ আশ্রমের মালিক ধর্মগুরু ভক্তি ভূষণ গোবিন্দ মহারাজ করোনা ভাইরাসের ওষুধের নাম করে ওই ১০ জন শিক্ষার্থীকে অ্যালকোহল খাওয়ানোর পর বলাৎকার করেন । পুলিশ জানায়, ধর্মগুরুর এই অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আশ্রমের এক কর্মীকে বের করে দেওয়ার পর সে পুলিশের কাছে গিয়ে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ গত বৃহস্পতিবার ওই ধর্মগুরুকে আটক করে এবং বলাৎকারের শিকার ওই ১০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, বলাৎকারের শিকার হওয়া ওই ১০ শিক্ষার্থী ভারতের ত্রিপুরা এবং মিজোরাম থেকে লেখাপড়া করার জন্য উত্তর প্রদেশের ওই আশ্রমে এসেছিলেন। বলাৎকার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজনের বয়স নয় থেকে ১২ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১৮ বছর।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, শুধু বলাৎকারই না ওই শিক্ষার্থীদেরকে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও দেখাতেন অভিযুক্ত ধর্মগুরু ভূষণ গোবিন্দ মহারাজ। এছাড়াও তাদের ওপর নির্যাতনও চালানো হতো।
ভারতীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ভক্তি ভূষণ এবং তার বাবুর্চির বিরুদ্ধে এই ঘটনায় তিনটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।