স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান ম্যাচের আগে সর্বশেষ পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান একটি সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ সেঞ্চুরি এসেছিল, তাও এক ম্যাচেই তিনটি।
এরপরে খেলা পাঁচটি টেস্টে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি কোনো টাইগার ব্যাটসম্যান। ফলাফলও পেতে হয়েছে হাতেনাতে, একটি বাদে সবগুলো টেস্টেই হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের এক ইনিংসের রান বাংলাদেশ দুবার ব্যাটিং করেও করতে পারেনি।
আগে টেস্ট ম্যাচ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান থাকলেও এখন আর তা নেই। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপ চালু হওয়াতে গুরুত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে বহুগুণ। এক টেস্ট খারাপ করলেই পুরো টুর্নামেন্টেই এর প্রভাব পড়বে। টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপে বাংলাদেশের যাত্রা হয়েছে অশুভ, প্রথম তিন ম্যাচই হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে।
তবে জিম্বাবুয়ে টেস্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক দলের সেঞ্চুরি খরা কাটানোর কথা দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কথা বলতেছি না। আমি আমার কথা বলি না প্রেস কনফারেন্সে, দলের কথাই বলি। আমাদের টিমের কেউ ১০০, ২০০ বা ৩০০ করবে কথা দিলাম, যে কেউ হোক বড় ইনিংস খেলবে ইনশাআল্লাহ।’
সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে রেখেছেন মুমিনুল হক। তার দলের অন্য কোনো খেলোয়াড় নয়, বরং তিনি নিজেই সেঞ্চুরি করে কথা রেখেছেন।
আজ সোমবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের তৃতীয় দিনে ক্যারিয়ারের নবম শতকের দেখা পান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল। ডোনাল্ড টিরিপানোকে চার মেরে ১৫৬ বলে ১২টি চারের মারে তিনি এই শতক হাঁকান।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। ভারত সিরিজ থেকে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া মুমিনুল হক তো আরও কয়েক ধাপ পিছিয়ে ছিলেন, টানা ১৪ ইনিংস তিনি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেননি। অবশেষে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই আক্ষেপ ঘুচল তার। আবার অধিনায়ক হিসেবে এটি তার প্রথম শতক।
২০১৯ সাল থেকে হিসাব করলে এই বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টসহ বাংলাদেশ সাতটি টেস্ট খেলে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেঞ্চুরি করেছিলেন। অধিনায়ক মুমিনুলের আশা ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করবেন দলের কেউ না কেউ।
কেন সেঞ্চুরি হচ্ছে না? এই ব্যখ্যা দিতে গিয়ে মুমিনুল বলেছিলেন, ‘সত্যি বলতে গেলে আমার কাছে মনে হয় এতগুলো ইনিংসে একটা ১০০ না থাকা মানে হয়তো আপনি নিচের দিকেই আছেন। আমার কাছে মনে হয়, মানুষের মাঝে মাঝে একটু খারাপ সময় যায়। দল হিসেবে আমরা হয়তো খারাপ সময় পার করছি। ইনশাআল্লাহ আমরা এটা ওভারকামের জন্য কাজ করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।