জুমবাংলা ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে ‘অউসো মারো’ নামের পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ভিড়ছে মাতারবাড়ীতে। এটি ২২৯ মিটার দীর্ঘ, ড্রাফট ১২ দশমিক ৫ মিটার।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ। একই সঙ্গে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রথম কয়লা নিয়ে আসা জাহাজ।
আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজটি মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে আনা হয়। জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে আনার সময় পাইলটেজ টিমে ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর ফজলর রহমান, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপটেন ফরিদুল আলম, ক্যাপটেন জহির, মেইন পাইলট ক্যাপ্টেন কামরুল এবং কো পাইলট ক্যাপ্টেন শামস।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাহাজটি বহির্নোঙরে আসে।
সূত্র জানায়, ২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের কোনো জাহাজ এর আগে দেশে ভিড়েনি। সমুদ্র থেকে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার চওড়া কৃত্রিম চ্যানেলের মধ্য দিয়ে জাহাজটি জেটিতে আনা হয়। ইতিমধ্যে এ জেটিতে ১১২টি জাহাজ জেটিতে ভিড়লেও সেগুলোতে ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উপকরণ।
মাতারবাড়ীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট’র (জাহাজের পানির নিচের গভীরতা) পানামার পতাকাবাহী এমভি ‘অউসো মারো’ মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে। এটি বন্দরের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এর আগে দেশে এত বড় ও গভীরতার জাহাজ ভিড়েনি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এখন সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ আনার সুযোগ আছে। পায়রাবন্দরেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভিড়েছে ১০ দশমিক ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ। কিন্তু ‘অউসো মারো’র মতো দীর্ঘ ও ড্রাফটের জাহাজ এটাই প্রথম।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) অধীনে জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়াম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি স্টিম টারবাইন, সার্কুলেটিং কুলিং ওয়াটার স্টেশন স্থাপন, ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি ও পানি শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
মাতারবাড়ীতে সমুদ্র বন্দরের প্রকল্পের আওতায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস জেটি এবং ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি নির্মিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।