লাইফস্টাইল ডেস্ক : সর্দি-কাশি বা জ্বর নয় স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া হতে পারে করোনা সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ। একজন ব্যক্তির শরীরে যখন প্রথম করোনা সংক্রমণ হয়, তখন তিনি সব জিনিসের স্বাদ ও গন্ধ হারাতে থাকেন।
এমনটিই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আর একাধিক গবেষণা থেকেও এ তথ্য জানা গেছে।
যেসব গবেষণায় প্রমাণ মিলছে
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, করোনা আক্রান্তদের সিংহভাগই স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার কথা বলছেন।
লন্ডনের কিংস কলেজের তৈরি একটি করোনাভাইরাস ট্র্যাকার অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া ফলে দেখা যাচ্ছে, এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ৫৯ শতাংশই বলেছেন তারা হঠাৎ করেই নাকে গন্ধ পাচ্ছেন না, জিভে স্বাদ পাচ্ছেন না।
কিংস কলেজ ও ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যে প্রায় সাত হাজার লোক পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন, তাদের ৬৫ শতাংশই বলছেন তাদের স্বাদ-গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা চলে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ যায়েদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী আছেন, যাদের ঠাণ্ডা-কাশি ও জ্বর ছিল না। তবে তারা স্বাদ ও গন্ধ হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের রোগী আমরা পেয়েছি। তাই স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন না এমন যদি হয়ন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ও করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
এদিকে বিভিন্ন গবেষণা বলছে, জ্বর-কাশির চেয়ে স্বাদ-গন্ধ হারানোই করোনার প্রধান উপসর্গ হয়ে দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে ব্রিটিশ রিনোলজিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্লেয়ার হপকিনস বলেন, জ্বর বা কাশির চেয়েও হঠাৎ স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া করোনার আরও ‘বিশ্বাসযোগ্য‘ উপসর্গ হতে পারে।
স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার একমাত্র উপসর্গ
করোনায় আক্রান্ত হলে হঠাৎ রোগীর স্বাদ-গন্ধ চলে যেতে পারে। সর্দিতে নাক বন্ধ না হলেও এটি ঘটতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথমেই এ উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
প্রফেসর ক্লেয়ার বলেন, ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।