মাসুদ হাসান খান, বিবিসি বাংলা : বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তারের মুখে জনসংষ্পর্শ এড়িয়ে চলার জন্য অনেকেই বাসায় অতিথি আসা নিষিদ্ধ করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সম্পর্কিত বেশ ক’টি পোস্ট দেয়া হয়েছে যেখানে বিনা আমন্ত্রণে কারো বাড়িতে অতিথি হিসেবে না যাওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি, নিজের বাড়িতে কোন আমন্ত্রণ ছাড়া কারও আসার ব্যাপারেও নিরুৎসাহ দেয়া হয়েছে।
ফেসবুকে এক পোস্টে রবিউল মাহমুদ রিজভী লিখেছেন, “আগামী ১৫ দিন বা যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন পর্যন্ত বাসায় থাকব ইনশা আল্লাহ।“
“এমনকি এখন বাসায় মেহমান আসাও নিষেধ। দয়া করে বাসায় থাকুন।“
ফেসবুকে অনেকেই তার পোস্টের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে কাজটা কতোখানি মানবিক হবে কেউ কেউ সে প্রশ্নও তুলেছেন।
হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপে দেয়া এক পোস্টে আসিফ খান নামে একজন লিখেছেন: “আমার সকল আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এবং শুভাকাঙ্ক্ষী পরিচিত-জন – আপনাদের প্রতি একটি অনুরোধ করছি; দয়া করে বর্তমান ‘করোনা’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায় না আসা পর্যন্ত কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে কোন দাওয়াত/ আমন্ত্রণ/ নিমন্ত্রণ/ বা দেখা করতে যাওয়ার জন্য বলবেন না বা অনুরোধ করবেন না।“
“তেমনিভাবে আমিও আমার বাসায়/পরিবারের নিকট কাউকে আসতে জোর বা অনুরোধ করবো না। …ব্যাপারটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে নিজে ভালো থাকুন এবং আমাদেরকে থাকতে দিন।“
ফেসবুকে করোনাভাইরাসের একটি গ্রুপের পোস্টে এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে: “বাইরের মানুষ আনাগোনা এখনই কমিয়ে দিন। মেহমানদারী করা বাঙালীদের ঐতিহ্য, তবে এই ঐতিহ্য এখন বিসর্জন দেওয়া আবশ্যক।“
“ভাড়াটিয়াদের বলেন, বাইরের মেহমান না আনতে। আর আপনি নিজেই ভাড়াটে হলে বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করবেন, বাইরের মানুষ যতদূর সম্ভব কম যেন ঢোকানো হয়ে অ্যাপার্টমেন্টে।“
বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তারিত ঠোকানোর একটি পথ হলো নিজেদেরকে অন্যদের সংস্পর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।
বাসা, পরিবার, কর্মস্থল, বা সামাজিক পরিমণ্ডলে অন্য যে মানুষেরা আছেন তাদের মধ্যে যেন করোনা ভাইরাস ছড়াতে না পারে তার জন্যই এই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।