আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেশি দেশ উত্তর কোরিয়ায় ওই ভাইরাসে একজনও আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দারিদ্র্য পীড়িত ওই দেশটি সম্ভবত সংক্রমণ শনাক্ত করতে পারছে না; যেখানে প্রাদুর্ভাব শুরু হলে তা চীনের চেয়েও ভয়াবহ প্রাণঘাতী হতে পারে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৭৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে দুই হাজারের বেশি মানুষ। পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের অন্তত ২৪টির বেশি দেশে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত হয়েছে ১০৪ জন।
তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি মুখপত্র দৈনিক সিনমুন মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটিতে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। উত্তর কোরিয়ার এই বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের কোনো আলামত নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি দেশটিতে করোনাভাইরাস প্রবেশ করে, তাহলে তা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ দেশটির স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা একেবারে দুর্বল। এ ধরনের ঘটনা দরিদ্রতা ও অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা একটি দেশের মানুষের জীবনকে বিপদাপন্ন করে তুলতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হেলথ কেয়ার সেন্টারের পরিচালক ডা. জন লিন্টন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সাধারণ জনগণ অপুষ্টিতে ভুগছে। তার ওপর এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা চীনের চেয়েও বেশি প্রাণঘাতী হবে।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ (এক কোটি ১০ লাখ) পুষ্টিহীনতার শিকার এবং ব্যাপক পরিসরে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। এমনকি অনেক প্রদেশে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।