আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভাইরাস আক্রান্ত ইতালির লম্বার্ডি অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি বাংলার।
শনিবার রাত থেকে কার্যকর হওয়া সেসব পদক্ষেপে বাইরের সবরকম খেলাধুলা এবং শারীরিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও কোন কিছু করা যাবে না।
ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শনিবার ইতালিতে করোনাভাইরাসে প্রায় ৮০০ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত একমাসে দেশটিতে ৪৮২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
জরুরি সরবরাহ ব্যবস্থা ছাড়া সবরকমের ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল, সড়ক আর রেলপথের কাজ ছাড়া সবরকমের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
দেশটিতে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোয় যে উন্মুক্ত বাজার বসতো, সেগুলো স্থগিত করে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আটই মার্চ থেকে লকডাউনের মধ্যে রয়েছে লম্বার্ডি অঞ্চল।
ইতালিজুড়ে ‘প্রয়োজনীয়’ ছাড়া সবরকমের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কোন্তে। তবে কোন ব্যবসাগুলোকে ‘প্রয়োজনীয়’ বলে গণ্য করা হচ্ছে, তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
সুপারমার্কেট, ঔষধের দোকান, পোস্ট অফিস এবং ব্যাংক খোলা থাকবে এবং গণপরিবহন চালু থাকবে।
মি. কোন্তে একটি টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেন, ”আমরা দেশের উৎপাদন ইঞ্জিন শ্লথ করবো, তবে একেবারে বন্ধ করে দেবো না।”
এই সময়টি যুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে সংকটময় সময় বলে তিনি বর্ণনা করছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বে ২,২০,০০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং নয় হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি
স্পেন জানিয়েছে, দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩২ শতাংশ বেড়ে গেছে। মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতালির পরেই এখন স্পেনের অবস্থান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩২৬ জন।
দেশটির ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে লকডাউন অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। শুধুমাত্র জরুরি কাজ, খাবার কেনা, ঔষধ কেনা অথবা কুকুরকে হাঁটানোর জন্য তারা বাইরে বের হতে পারবেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সতর্ক করে দিয়েছেন যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শ্লথ করতে জনগণ যদি সহায়তা না করে, তাহলে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যারা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার বিষয়গুলো মানছেন না, তারা দেশের জন্য ‘বিপজ্জনক’ এবং ‘দায়িত্বহীন’। দেশটিতে ১২,৫০০ জনের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং ৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ডু কুমো তরুণদের সতর্ক করে দিয়েছেন, যাতে তারা দলবদ্ধভাবে চলাফেরা না করে।
”এটা একটা জনস্বাস্থ্যের ব্যাপার এবং আপনি অন্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারেন না, এমনকি আপনার নিজের স্বাস্থ্যের জন্যেও নয়।” তিনি বলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।