স্পোর্টস ডেস্ক : পর্তুগালে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। একদিনে ২১ জনের মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০৮ জন। গত ৩ এপ্রিলের পরে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড।
শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও গত কয়েক সপ্তাহ থেকে সংক্রমণের হার দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে শুক্রবার পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী এন্তনিও কোস্তা ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যদিও আমি নিজেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নেয়া বাধ্যতামূলক পদক্ষেপগুলো পছন্দ করি না। কিন্তু আমাদের পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য আরও কঠোর বিধি-নিষেধের আওতায় আসতে হতে পারে।’
ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯৫ হাজার ৯০২ আক্রান্ত হয়েছে এবং ২ হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার ফলে গত বুধবার থেকে নতুন কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
সারা দেশকে বিপর্যস্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সরকার যে কোনো ন্যায়-সংগত পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে জানান যা সকলে মেনে চলছে হবে।
এখন থেকে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি একত্রিত হতে পারবে না এবং এটি পাবলিক এরিয়া, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক এলাকায় কার্যকর হবে। পারিবারিক অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জন এবং সকলে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং রেস্টুরেন্টে এ সকল বিধি না মানা হলে ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এবং তা কঠোরভাবে কার্যকর হবে।
যেসব নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাদের বাধ্যতামূলক স্টে অ্যাওয়ে কোভিড মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে এবং পাবলিক এরিয়া এবং রাস্তায় মাস্ক পরিধান করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।