স্পোর্টস ডেস্ক : মহামারী করোনা ভাইরাসের আগ্রাসনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সবধরনের ফুটবল। লম্বা বিরতি কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরেছেও। তবে এখনো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হচ্ছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব-কোপা অ্যামেরিকাসহ আন্তর্জাতিক ফুটবলের বেশকিছু ম্যাচ পিছিয়েছে। এই অবস্থায় বেশ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা, সেটি জানা কথাই। তবে অংকটা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। এই কয়েক মাসে ফিফার ক্ষতি ১৪শ’ কোটি মার্কিন ডলার!
ফিফার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন এমনই।
অলি রেন নামের ওই কর্মকর্তা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। যদিও ধীরে ধীরে মাঠে ফিরতে শুরু করেছে ফুটবল, তবে করোনা না কাটলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, বেশকিছু পেশাদার ক্লাব খুবই জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমার শঙ্কা, যুব একাডেমি এবং নিম্নমানের ক্লাবগুলো আরো বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।
করোনার কারণে ল্যাতিন অ্যামেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেছানো হয়। তাছাড়া ১ বছর পেছানো হয়েছে মহাদেশটির শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা অ্যামেরিকা। রেন মনে করেন, ল্যাতিন অ্যামেরিকার ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আছে এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের ফুটবল।
তিনি বলেন, এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলে ফুটবলের উন্নতিতে যে সব কার্যক্রম চালু হয়েছিল সেগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা চাই ধীরে ধীরে হলেও উন্নয়নমূলক কাজগুলো চালু রাখতে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেডারেশন ও দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে ফিফা। রেন জানান, ফিফার সহযোগী ২১১টি দেশের মধ্যে এরইমধ্যে ১৫০টি দেশের ফেডারেশন সহযোগিতার জন্য ফিফার কাছে আবেদন করেছে।
রেন মনে করেন, ধীরে ধীরে ফুটবল শুরু হলেও আরো একটি বড়সড় ধাক্কার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায়না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।