জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে মায়ের জীবন। এখন করোনা পজিটিভ বাবাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সামিহা মায়শা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের এসএফএক্স গ্রীন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মিডিয়ামে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মায়শার মা ফরিদা ইয়াসমীন হীরা (৩৫)। এর আগে মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকের বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
গত কয়েকদিন আগে প্রকৌশলী কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী হীরা করোনা পজিটি হন। তারা দুজন বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা খারাপ হলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে স্ত্রী হীরাকে ভর্তি করান। করোনার পাশাপাশি কিডনি সমস্যা থাকায় বাঁচানো যায়নি হীরাকে। আজ বৃহস্পতিবার কামাল হোসেনকেও একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাই মাকে হারিয়ে বাবাকে নিয়ে দুচিন্তায় থাকা মায়শাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মায়ের মৃত্যুতে ছোট্ট মেয়েটি এখন সারাক্ষণ কাঁন্না-কাটি করে। বৃদ্ধা নানি ছাড়া তাকে বাসায় সান্ত্বনা দেওয়ার কেউ নেই। নানির শরীরের অবস্থাও বয়সের কারণে ভালো নেই। নানির ক্ষুধা লাগায় তার জন্য কোনো রকম জাউভাত রান্না করেছে বলে জানায় মায়শা। করোনা আক্রান্ত বাবাকেও দেখভাল করার দায়িত্ব ছোট্ট মায়শার।
সামিহা মায়শা ভাষ্যমতে, ‘বাবা হাসপাতালে গিয়েছেন। বলে গেছেন, তার ফিরতে দেরি হবে।’
কামাল হোসেনের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। জানা গেছে, হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি প্লাজমা থেরাপি নিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।