জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (৪৫) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। তার বাড়ি মহানগরীর হেলাতলা এলাকায়। খবর ইউএনবি’র।
মৃত ওই রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ।
তিনি বলেন, ‘ওই রোগীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ার পর চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী তথ্য নেন। এই হাসপাতালে আসার আগে ওই রোগী ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। একই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত একজন রোগী মারা গিয়েছিল। কিন্তু ওই রোগী এখানে ভর্তির সময় সেই তথ্য গোপন করেন। তা না হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হতো।’
ডা. মোর্শেদ আরও বলেন, ‘ওই রোগীকে মডার্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি এবং তথ্য গোপন করে এখানে ভর্তি হন। তার কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেল।’
হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, ওই রোগীকে চিকিৎসা দেয়া ১৫/২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। ৯০ শতাংশ সন্দেহ ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পয়েন্ট ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ঢাকার মডার্ন হাসপাতাল থেকে থাইরয়েড অপারেশন করে পোস্ট অপারেটিভ চিকিৎসার জন্য এক রোগী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। প্রথমে সবাই ভেবেছিল অপারেশনের কারণে হয়তো এ রকম হচ্ছে। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম খুলনায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর থেকে তারা খুলনায় এসে পৌঁছেছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকার টিমটি আগে থেকে যশোর অবস্থান করছিল। এই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তার ওই ব্যক্তির খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পলিথিন মুড়িয়ে রাখা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।