নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চীনে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৮ জন। আর বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী মোট আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৯তম। আর কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যার হিসেবে বিশ্বে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ হাজার ৮৫৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। একই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৪৪ জন।
এনিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনে। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১ হাজার ১৩৯ জন।
মারা যাওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ আর ১১ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৯ জন এবং চট্টগ্রামের ১৩ জন। বাকিরা অন্য বিভাগের।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৮৫৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়।
তিনি জানান, নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন করোনা রোগী। এ নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জুন মাস শুরু হওয়ার পর একদিনেও শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি বাংলাদেশে। একটানা ১০দিন যাবৎ মৃতের সংখ্যা ৩০ কিংবা তার চেয়ে বেশি।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।