করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর ওপর তিনটি ওষুধ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। তবে এগুলোর একটিও করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়নি। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় এর কার্যকারিতাও এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সুপারিশ এবং মানবিকতার জায়গা থেকে ওষুধ তিনটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ওষুধ ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে তিনটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে, তার মধ্যে একটির নাম ‘জিভি১০০১’। ‘জেমভ্যাক্স অ্যান্ড কায়েল’ নামের একটি কম্পানি এই ওষুধ তৈরি করেছে। এটি বানানো হয়েছে মূলত আলঝেইমারে (স্মৃতিভ্রংশজনিত রোগ) আক্রান্তদের জন্য। ওষুধটি বর্তমানে আলঝেইমার রোগীদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। গত শুক্রবার দায়েগু শহরের ‘কাইউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চিলগক হসপিটালের’ কভিড-১৯-এ আক্রান্ত দুই রোগীর ওপর ওষুধটি প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘জিভি১০০১’ এক ধরনের পেপটাইড (একাধিক অ্যামিনো এসিড দ্বারা গঠিত উপাদান), যা মানুষের টেলোমেরাসি থেকে পাওয়া যায়। ‘জেমভ্যাক্স অ্যান্ড কায়েল’
দাবি করেছে, করোনাভাইরাসের কারণে রোগীর শরীরে যে ‘সাইটোকাইন স্টর্ম’ হয়, ওষুধটি তার বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ওষুধটির ক্যান্সারবিরোধী ক্ষমতাও আছে। এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেশন, অ্যান্টি-অক্সিডেশন ও সেলুলার প্রটেকটিভের প্রভাবও আছে। যেসব রোগীর চিকিৎসার আর কোনো উপায় নেই, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
দ্বিতীয় ওষুধটির নাম ‘এইচজেডভিএসএফ’ (হিউম্যানাইজড ভাইরাস সাপ্রেসিং ফ্যাক্টর)। এটি বানিয়েছে ‘ইমিউনমেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাত করোনা রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ওষুধটির নাম ‘সেলগ্রাম-একেআই’। এটি এক ধরনের ‘স্টিম সেল থেরাপি’। ওষুধটি বানিয়েছে ‘ফার্মিসেল’ নামের একটি কম্পানি। সূত্র : কোরিয়া বায়োমেডিক্যাল রিভিউ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।