জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত জেনেও মৌলভীবাজারে দু’ব্যক্তি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ একজনকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে। অপরজনকে এক রকম পুলিশি অভিযান চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নিয়ে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে দিয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শহরের কাশিনাথ রোডে এক ব্যক্তি ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করেন। ২০ জুন তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়ে তাকে বাসায় আইসোলেশনে থাকতে বলে। কিন্ত এ ব্যক্তি দু‘দিন ধরে শহরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেই সাথে শহরের পশ্চিমবাজার এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন।
এ বিষয়টি মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের নজরে আসলে আজ সোমবার (২২ জুন) বেলা তিনটায় পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তা পরিমল দেবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথমে এ ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্টান খোঁজে বের করা এবং এ ব্যক্তিকে সনাক্ত করা। অবশেষে অনেক খোঁজাখোজির পর পুলিশ এ ব্যক্তিকে সনাক্ত করে। এ সময় পশ্চিমবাজারে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে পুলিশি প্রহরায় এক রকম জোরপূর্বক তাকে ধরে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাকে সাবধান করা হয়েছে- যাতে আর ঘরের বাইরে বের না হন।
অপরদিকে উত্তর কলিমাবাদ এলাকার লোকজনের অভিযোগ, তাদের এলাকার এক যুবক বিদেশে যাবার জন্য করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে গেলে তার শরীরে প্রায় সপ্তাহ-দশদিন আগে এ রোগ সনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়। এ যুবক এটি অমান্য করে পরিবারের লোকজনদের সাথে মেলামেশা একইভাবে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বিষয়টি স্বাস্থ্যবিভাগ ও পৌর মেয়রকে অবহিত করেও কোন সুরাহা হয়নি। তবে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে উত্তর কলিমাবাদের এ বাসায় উপস্থিতি হয়ে যুবককে সতর্ক করে দেয়া হয়। মৌলভীবাজার জেলা শহরে এরকম একাধিক ঘটনায় লোকজনরা শংকিত হয়ে পড়ছেন।
এদিকে মৌলভীবাজার মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা পরিমল দেব এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন নিয়ম অনুযায়ী একজন করোনা সন্দেহ জনক ব্যক্তি নমুনা দেয়ার পর রেজাল্ট আসার আগ পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। দেখা গেছে, এখানে এ নিয়ম কেউ মানছেননা। এটি দু:খজনক। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আরো নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে পুলিশ এ কর্মকর্তা মনে করেন। সূত্র : সময় সংবাদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।