ধর্ম ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সারাদেশে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যর মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পালিত হয়েছে পবিত্র শবে বরাত। তবে এবার মসজিদে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে মুসল্লি ছিল না বললেই চলে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শবে বরাতের রাতে বিশেষ দোয়া করার সাথে সাথে কবরস্থান বা মাজারে জনসমাগম না করার জন্য দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
অনেকের মতে, মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানগণ এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীরমাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মেনে মসজিদগুলোতে বেশি মুসল্লি চোখে পড়েনি। পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় তিনটি মসজিদে নিয়ন্ত্রিত মুসল্লি চোখে পড়েছে। মসজিদগুলো থেকে বাসায় বসে নফল নামাজ ও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই আহ্বান মেনে বাসাতেই নফল নামাজ, কালেমা, তওবা ও ইসতেগফার আদায় করছেন তারা।
আর অন্যান্যবার শিশু-যুবকেরা এই রাতে রাস্তায় দল বেধে বেড়ালেও এবার চিত্র ছিল ভিন্ন। বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন করায় আতঙ্কিত সবাই। তবে পাড়ার মোড়ে মোড়ে কিছুটা জটলা করছে শিশু-কিশোরেরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।