আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গিয়েছে। এই গবেষণায় কিছু দেশের সরকারের দেয়া ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ব্রিটেন ও ইতালিসহ অনেক দেশই এই পাসপোর্ট ইস্যু করতে চাইছে। তারা মনে করছেন, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া এই রোগিরা পুনরায় আর আক্রান্ত হবেন না ও দেশের অর্থনীতিকে দাঁড় করাতে কাজ করতে সক্ষম হবেন। ইউরো নিউজ
এই গবেষণায় ৩৫-উর্ধ্ব ১০ জনের ওপর চার মৌসুমের করোনা সংক্রমণের পর অ্যান্টিবডি সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ২৭ থেকে ৪০ বছর বয়সী এই ব্যক্তিদের ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়।
গবেষকরা দেখেছেন, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ইমিউনিটি ও অ্যান্টিবডি স্বল্পমেয়াদে কার্যকর থাকে। স্বল্পমাত্রায় ৬ মাস ও দীর্ঘমাত্রায় ১২ মাস পর ব্যক্তি পুনরায় করোনা শনাক্ত হতে পারেন।
তারা বলেন, মানুষের শরীরে সংক্রমণ করা চার ধরণের করোনা ভাইরাস জৈবিকভবে ভিন্ন হলেও সাধারণ ঠান্ডাজনিত উপসর্গের ক্ষেত্রে এদের মিল রয়েছে। এবং এরা সবাই স্বল্পমাত্রার ইমিউনিটি ও অ্যান্টিবডিকে পুনরায় আক্রমণ করতে পারে। যদি সার্স-কোভিড-২ ভবিষ্যতে সিজনাল করোনাভাইরাসের মতো ব্যবহার করে এক্ষেত্রেও একই ভাবে কাজ করবে।
বিভিন্ন দেশের সরকার করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’ দিতে চাইছে যাতে করে তারা নিশ্চিতে ভ্রমণ করতে পারে ও সামাজিক দুরুত্বের বিধি-বিধান থেকে মুক্ত থাকে। তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ‘এই সুরক্ষামূলক ইমিউনিটি ৬ মাসের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে। এর ফলে ব্যক্তি আবারও পুনরায় আক্রান্ত হতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।