চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস এমনটাই এতোদিন জেনে এসেছে বিশ্বের সবাই। তবে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ইতালির এক চিকিৎসক। তার দাবি, চীনের অনেক আগেই ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছিল এই মারণ ভাইরাস। আর তিনি এই দাবির পিছনে বেশ কিছু যুক্তিও দাঁড় করেছেন।
ইতালির ডাক্তারের এমন বিস্ফোরক মন্তব্য ফলাও করে ছেপেছে চীনের গ্লোবাল টাইমস, সিসি টিভি-সহ আরও বেশ কয়েকটি মিডিয়া।
চীনের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ইতালিতে। আর মৃত্যুর সংখ্যায় চীনকেও টপকে সবার শীর্ষে এখন দেশটি।
মিলানের মারিও নেগরি ইনস্টিটিউট ফর ফার্মাকোলজিক্যাল রিসার্চ—এর অধ্যক্ষ জুসেপ্পে রেমুজ্জি জানিয়েছেন, ইতালিতে অনেক আগেই করোনা ছড়াতে শুরু করেছিল। চীনের উহানের আগে ইতালির লুম্বার্ডিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল করোনা। আর সেটা চীনের উহানে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগের ঘটনা।
সে সময় এই মহামারির বিষয়ে তিনি ও একদল চিকিৎসক ইতালির প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন বলেও দাবি করেন জুসেপ্পে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এখনও করোনার উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা করছেন। এরই মধ্যে ইতালির এই চিকিৎসকের দাবি নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করল।
উহানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার পর বেইজিং এখন জোর গলায় দাবি করছে, উহান নয়, ইউরোপে জন্ম হয়েছে করোনাভাইরাসের। বর্তমানে করোনার সংক্রমণের মূলকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউরোপ। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি, স্পেন। ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড-সহ অনন্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে।
বার্গামো ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, চীনে এই প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে মানুষ সচেতন হওয়ার আগে কয়েক মাস ধরে ইতালিতে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
জুসেপ্পে দাবি করেছেন, গত নভেম্বরে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলে অপরিচিত এক ধরনের নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও উদাসীন মনোভাব দেখায় সরকার।
ইতালিতে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয় হাজার ৮২০ জন মারা গেছেন। ৬৯ হাজার ১৭৬ জন মানুষ ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে ইতালিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।