জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেন। সেখানে তার স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়।
এরপর এ তিনজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শাশুড়ি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়। শ্বশুরের ফলাফল নেগেটিভ আসলেও দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আজ রোববার মারা যান তিনি।
করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম। তিনি পাথরঘাটা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা। আর তার মেয়ে জামাইয়ের নাম মিজানুর রহমান মল্লিক। মিজানুর রহমান মল্লিক পাথরঘাটা পৌরশহরের জুতার ব্যবসা করেন।
করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া নজরুল ইসলামের শ্যালক বেলায়েত হোসেন দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, তার দুলাভাই সাবেক বন বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পরেও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। গত তিনদিন ধরে শ্বাস ও কাশি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবার-দাবার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে আজ রোববার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘদিন নজরুল ইসলামের বাসা লকডাউন থাকায় বাসায় তিনি তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে অবস্থান করে আসছিলেন বলেও জানান বেলায়েত হোসেন।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা. মেহেদী হাসান জানান, পাথরঘাটা পৌরশহরের জুতা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মল্লিক ঢাকা যান। ঢাকা থেকে আসার পর তার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে তার নমুনা পাঠানো হয়। সে সময় তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের একইভাবে উপসর্গ দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রির্পোটের জন্য পাঠালে গত ১ জুন তার শাশুড়ির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তার শ্বশুর ও স্ত্রীর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।