আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে প্রাণঘাতী করোনাভারাসে মৃতের সংখ্যা সরকারি ঘোষণার চেয়ে বেশি হতে বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ মৃতদেহগুলোকে তাড়াতাড়ি দাহ করা হচ্ছে। এমনকি নথিভুক্ত না করেই মৃতদেহগুলোকে হাসপাতাল থেকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহরের শ্মশান কর্মীরা এমন দাবি করেন।
চীন আজ (৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২১৩ পৌঁছেছে। কিন্তু আঙ্শকা এখানেই যে, যে মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার কথা বলা হচ্ছে সেই তুলনায় মৃত্যের সংখ্যাটা কম। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এমন খরব প্রকাশ করেছে।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের পূর্ব এশিয়ার সংবাদদাতা উইলিয়াম ইয়াং ‘দ্য সান’কে বলেছেন, ‘চীন বিশ্বকে কি জানাচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যদিও তারা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে আধিক স্বচ্ছ হয়েছে। অন্যদিকে তারা অসম্পূর্ণ ও অবিশ্বাস্য হতে থাকবে।’
ইয়াং আরো জানান, হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ইনিশিয়াম’ স্থানীয় শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছে। তারা বলেন, ‘যথাযথভাবে শনাক্ত না করেই মৃতদেহগুলোকে শ্মশানে পাঠানো হচ্ছে।’ এর মানে হচ্ছে, সেখানে রোগী রয়েছে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, কিন্তু তাদের সরকারি নথিতে যুক্ত করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উহান শহর এবং হুবেই প্রদেশের চারপাশের পাচঁকোটি জনগণকে পৃথক করাসহ চীন ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু এরপরেও মৃত্যের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শুক্রবার ৪৩ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২১৩ জন। এর মধ্যে একজন ছাড়া সবাই হুবেই প্রদেশের। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বৃদ্ধ।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন শুক্রবার জানায়, নতুন করে আরো এক হাজার ৯৮২ জন সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে করে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৯২ দাঁড়ালো্।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।