জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা চিকিৎসা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলোজি চিকিৎসক এম এ রশীদ। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে অমানবিক আচরণ সহ্য করতে হচ্ছে তাঁকে।
জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী (৩৬) নামের এক ব্যক্তি মারা যায়। মৃত্যু’র পূর্বে তার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন কার্ডিওলোজি চিকিৎসক এম এ রশীদ। পরে মৃত ব্যক্তির করোনা টেস্ট পজেটিভ আসার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার পৃথকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। দু’বার নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ আসলেও তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের যে বাসায় আছেন সেখানকার কয়েকজন অমানবিক আচরণ করছেন তার পরিবারের সঙ্গে। এছাড়া চিকিৎসক পরিবারের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাদেরকে তালাবদ্ধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়েছে ।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলোজি চিকিৎসক এম এ রশীদ বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপারের আন্তরিক সহযোগিতায় বর্তমানে সমস্যা সমাধান হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি যেন কোন প্রকার বিড়ম্বনায় না পড়েন সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর আগে কার্ডিওলোজি চিকিৎসক এম এ রশীদ ফেসবুকে লিখেছিলেন, মানব সেবার ব্রত নিয়ে চিকিৎসা পেশায় এসেছি। শুধু করোনা নয় যেকোনো রুগীদের চিকিৎসায় আমি ভয় পাই না। আজ নবম দিন হল কোয়ারেন্টাইনে আছি । একটি ফ্ল্যাটে একা বন্দি অবস্থায় দিন কাটছে। প্রিয় সন্তানের মুখ দেখি না। খুব আদর করতে ইচ্ছা করে, কাছে টানতে পারি না। কতদিন হল সূর্যের আলো দেখি না । ঝুম ঝুম বৃষ্টির আওয়াজ কানে আসে, জানালা খোলার সাহস হয় না। কারণ আমি নিজে যেমন আমার শরীর নিয়ে ভাবি, আমার দ্বারা অন্য কেউ যেন আক্রান্ত না হয় সেটা নিয়েও ভাবি। যদিও আমার করোনা টেস্টে ফলাফল নেগেটিভ। এরই মাঝে আমার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে অমানবিক আচরণ আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে। ফ্ল্যাটের সব ভাড়াটিয়া মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাকে নাকি তালা দিয়ে রাখা হবে। আমিতো চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি করি নাই। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আজ কোয়ারেন্টাইনে আছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।