কর্মচারীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা বিভাষ শর্মার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে কর্মচারীর স্ত্রী রিম্পা দাসকেও এ মামলার আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ মামলা করেন সদর হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী বিধান কুমার দাস। মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশের ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক নয়ন বড়াল।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. বিভাষ কুমার শর্মা সদর হাসপাতালের ডা. কোয়ার্টারে বসবাস করেন। তার স্ত্রী থাকেন অন্যত্র। হাসপাতালে আউটসোর্সিং প্রজেক্টে এমএলএসএস হিসেবে কাজের সুবাদে স্ত্রী রিম্পা দাসকে নিয়ে কর্মচারী কোয়ার্টারে বসবাস করতেন বিধান দাস।
হাসপাতালে পাশাপাশি অবস্থানের সুযোগ নিয়ে ডা. বিভাষ কুমার শর্মা বিধানের স্ত্রী রিম্পার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একই সঙ্গে গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় অনৈতিক সম্পর্ক গড়েন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান করেন তারা। গত ৩ নভেম্বর হাসপাতালের কর্মচারী কোয়ার্টারে আমার বাসায় আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, বিভাষ কুমারের স্ত্রী চৈতি রায় স্বামীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে যৌতুকের মামলা করেছেন। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় বিভাষ কিছুদিন জেলহাজতে ছিলেন। চৈতি এখন তার বাবার বাড়ি অবস্থান রয়েছেন।
মামলার বাদী বিধান দাস বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে এবং সংসারের শান্তি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে এতদিন পর মামলা করেছি। আমি তাদের দুজনের শাস্তি চাই।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিভাষ শর্মা বলেন, মামলার বিষয়টি আমি জানি না। এ ধরনের অনৈতিক সম্পর্কের কথা সঠিক নয়। তবে আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন এটি সঠিক।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজু আহম্মেদ বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক নয়ন বড়াল সদর থানা পুলিশের ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাকুরকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।