আমরা অনেকেই কলা খেতে খুব ভালোবাসি। তাই আমরা প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় কলা রাখার চেষ্টা করি। আবার অনেকেরই কলা প্রীতি দেখেই চমকে ওঠেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা— রোজ রোজ কলা খেলে ওজন এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। এমনকি সুগার বৃদ্ধির আশঙ্কাও প্রবল হয়। তবে এর পেছনে কতটা বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি রয়েছে, সে বিষয়ে জানাচ্ছেন ভারতের পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী।
কলা হচ্ছে পুষ্টির ভাণ্ডার
আমাদের অতিপরিচিত কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফোলেট, নিয়াসিন, কপার, ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এসব ভিটামিন শরীরের হাল ফেরাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান প্রদাহ কমায়। যার ফলে দূরে থাকে একাধিক অসুখ। তাই নিয়মিত কলা খেতে ভুলবেন না। তাতে শরীরের একাধিক উপকারই হবে। দূরে থাকবে বহু সমস্যা।
কলা খেলে কি ওজন বাড়ে?
কোয়েল পাল চৌধুরী বলেন, কলা খেলে ওজন বাড়ে। কারণ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের ভাণ্ডার। তাই বলে এই ফলের থেকে দূরত্ব তৈরি করবেন না। বরং যাদের ওজন ঠিক রয়েছে, তারা রোজ একটা করে কলা অনায়াসে খেতে পারেন। তাতে শরীরের উপকারই হবে। আর যাদের ওজন বেশির দিকে, বিএমআই খুব বেশি, তাদের কলা খেতে বারণ করা হয়েছে। নইলে ওজন আরও বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসে কলা খাবেন না, কারণ…
ডায়াবেটিসে কলা খাবেন না। কারণ মধুমেহ একটি জটিল অসুখ। আপনি যদি এই রোগের ফাঁদে পড়েন, তাহলে শরীরের হাল বিগড়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে সুগার কন্ট্রোলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এ কাজে সাফল্য পেতে চাইলে কলা খাবেন না। কারণ এতে বেশ কিছুটা প্রাকৃতিক মিষ্টি রয়েছে। এমনকি এই ফলের ক্যালোরি ভ্যালুও খুব বেশি। তাই ডায়াবেটিস থাকলে এই ফল এড়িয়ে চলুন। আশা করছি, এ নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।
ওজন কমাতে ডায়েটে বদল
আপনি যদি ঝটপট ওজন কমাতে চান, তাহলে সবার প্রথমে ফাস্টফুড খাওয়া ছেড়ে দিন। কারণ এ ধরনের খাবারে রয়েছে তেলের ভাণ্ডার। আর যে কোনো তেলসমৃদ্ধ খাবার ওজন বাড়ায়। এর পাশাপাশি খাওয়া চলবে না মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস, প্রসেসড ফুড, আইসক্রিম, চকোলেটের মতো একাধিক খাবার এবং পানীয়। তার বদলে শাকসবজি আরও বেশি পরিমাণে খান। এর পাশাপাশি ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ওটস এবং ডালিয়া খেতে হবে। তাতেই উপকার পাবেন।
শুধু ডায়েট করে ওজন কমবে না। এর পাশাপাশি রোজ ব্যায়ামও করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দিনে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ হলো মাস্ট। চেষ্টা করুন এ সময়টা জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর। আর জিমে যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলে বাড়িতেই করুন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। তাতেই ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন। ঝটপট কমে যাবে মেদের ভার। তাই এ বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।