জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক কলেজছাত্রীর মাথার চুল কাটার ঘটনায় রুপা আক্তার (২০) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুরে ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রুপা আক্তার এই ঘটনার প্রধান নায়ক রায়হান আলীর স্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামে হলেও তারা উপজেলা সদরে বালাহৈর জামে মসজিদের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আজ বুধবার দুপুরে রুপাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু তাকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রায়হান ও তার সহযোগীদের সহায়তায় রায়হানের স্ত্রী রূপা কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেয়। সেখানে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়।
ভিডিও ফুটেজে রুপা নিজ হাতে কাচি দিয়ে ওই ছাত্রীর প্রায় দেড় ফুট লম্বা মাথার চুল কেটে ফেলতে দেখা গেছে। ওই ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর রায়হান ও তার স্ত্রী রুপাসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দাযের করেন। ওইদিন পুলিশ রায়হানকে গ্রেফতার করে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে রুপা ও রায়হানের সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শ (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এর আগে মামলার প্রধান আসামি রায়হান ও গতরাতে তার স্ত্রী রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।