জুমবাংলা ডেস্ক : শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম রাসেল চৌধূরী (২৫)। কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর পশ্চিমপাড়ায় ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাসেল ওই গ্রামের মিজান চৌধূরীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কসবা থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছে নিহতের পরিবার। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত রাসেলের শ্বশুরসহ ৪ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে ফিরে না আসায় রাসেলের পরিবার ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে সকালে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বাড়ির পুকুর থেকে রাসেলের লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। রাসেলের পরিবারের দাবি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, নিহতের মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কসবা থানা উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন জানান, রাসেলের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিরোধ নিয়ে বৃহস্পতিবার শালিসি সভা হলেও কোন মীমাংসা হয়নি। রাতে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে আর ফিরে আসেনি। সকালে তার লাশ পুকুরে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেলের স্ত্রী ফাতেমা, ফাতেমার বাবা ওয়াদুদ মিয়া ও ফাতেমার ভাই রুবেল ও ফাতেমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রহিমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় চার বছর আগে প্রতিবেশী ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করেন রাসেল। তাদের ঘরে একটি ৩ বছরের সন্তানও আছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রাসেলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।