জুমবাংলা ডেস্ক : অপহৃত স্থানীয় যুবক আব্দুর রশিদের (২৭) লাশ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঈদের দিন ভোরে তার লাশ একটি খালে পড়ে থাকতে দেখেন কাঁকড়া শিকারে যাওয়া স্থানীয় এক ব্যক্তি।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মশিউড় রহমান জানান, নিহত আব্দুর রশিদ হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিয়া হোসেনের ছেলে। গতকাল ভোরে উখিয়া উপজেলার পালংখালীর আঞ্জুমান খাল থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আঞ্জুমান খালে কাঁকড়া শিকারে যাওয়া মোস্তাফিজ নামের এক ব্যক্তি হাত বাঁধা, মাথা ও নাক-মুখে আঘাতের চিহ্নসহ একটি মৃতদেহ দেখতে পান। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। স্থানীয়রা এসে মৃতদেহটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কতৃক অপহৃত কাটা খালীর আব্দুর রশিদের বলে শনাক্ত করেন।’
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাতে মিনাবাজারের পাহাড়ি এলাকা থেকে ধান ক্ষেত পাহাড়া দেওয়ার সময় শাহেদসহ তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের বাহিনী। এর দুই দিন পর অপহৃত আক্তারুল্লাহ নামের এক যুবককে হত্যা করে হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং এলাকায় পাহাড়ের কাছে লাশ ফেলে দেয় হাকিম বাহিনী। আক্তারুল্লাহকে হত্যার পর ফোন করে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহেদসহ দুজনের জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করতে থাকে হাকিম বাহিনী।
সর্বশেষ চাঁদা না পেয়ে অপহৃত দুজন থেকে শাহেদকে হত্যা করে পাহাড়ে পুঁতে রাখে ওই বাহিনী। অপর কৃষক ইদ্রিসকে নিয়ে রোববার রাতে উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুকৌশলে পালিয়ে আসেন তিনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাঁকড়া শিকারে যাওয়া আবদুর রশিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। গতকাল সকালে হত্যা করে তাকে খালের মধ্যে ফেলে দেয়।
ঈদের দিনে অপহৃত যুবক আব্দুর রশীদের লাশের খবর পেয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে তার পরিবারে। তার লাশ ময়নাতদন্তের শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নাজমুল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।