আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই জাতিগত কাজাখ, কাইশা আকান এবং মুরগার আলিমুলি। তারা চিনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল থেকে পালিয়ে বেআইনিভাবে চীন সীমান্ত পেরিয়ে কাজাখস্তানে আশ্রয় নেয়। সেখানে তাদেরকে জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে কথা না বলার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। কাইশা ও মুরগারকে কাজাখস্তানে অস্থায়ী শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা সেখানে নিরাপদ নয়। গত ২১ শে জানুয়ারী রাতে দু’জনের ওপরই হামলা হয়েছে। এ সময় তাদেরকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে।
হামলার শিকার কাইশা আকানের দাবি, তাকে বন্দি শিবিরে নেওয়ার ঠিক আগের সময়ে তিনি পালিয়ে যান। অপরজন মুরগার জানান, তিনি কাজাখের নাগরিক বলে পরিচয় বজায় রেখেছিলেন তাই চীনা পুলিশ তার পেছনে লাগে।
২১ শে জানুয়ারীর রাতে উভয়ের ওপরই হামলা হয়। হামলার পর কাইশা তাৎক্ষণিকভাবে মানবাধিকারকর্মী বেকজত ম্যাকসুটকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বিষয়টি স্বিকার করে বলেন, কাইশা ফোনে জানিয়েছেন, আমাকে মারধর করা হয়েছে। হামলার সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। কাইশা বাজারে গিয়েছিলেন। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেউ একজন অন্ধকার থেকে বের হয়ে তার মাথায় লোহার কিছু দিয়ে আঘাত করে। তাকে দু’বার আঘাত করা হয়। কাইশা সে সময় তার চেতনা হারিয়ে ফেলেন বলে জানান বেকজাত।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনা হয়েছিল। তারা কাইশাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কাইশার আইনজীবী গুল্মিরা কুয়েটবকভনার মতে, এখন কাইশার অবস্থা স্বাভাবিক। তিনি সচেতন এবং কথা বলতে পারছেন। তার মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছেন না। তিনি বলছেন তিনি হাসপাতালে নিরাপদ বোধ করছেন না।
কায়শা হামলার আগেও সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করেছিলেন। অপরিচিত ব্যক্তিরা তার বিল্ডিংয়ে এসেছিলেন এবং তারা কাইশা আকান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছিলেন। চীনে তার আত্মীয়দেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় কারণ একই রাতে মুর্গার আলিমুলিকেও আক্রমণ করা হয়েছে। বেকজাতের মতে, ২১ শে জানুয়ারীর রাতে মুরারের আত্মীয়রাও তাকে জানিয়েছে যে মুরারকে অজানা ব্যক্তিরা ছুরিকাঘাত করেছে। বেকজত বলেন, মুরার এর বোন নূর-সুলতান তাকে ফোন করেছিলেন। দু’জন মুরারকে ২ জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। কাইশাকে একজন এবং মুরারকে দুজন লোক আক্রমন করেছে বলে জানান বেকজত।
মুরারার পকেটে একটি পাওয়ার ব্যাংক ছিল যার কারণে ছুরিকাঘাত গভীরভাবে আঘাত করতে পারেনি। বেকজত আরো জানান, তাদের রিপোর্ট অনুসারে কাইশা ও মুরারকে একযোগে আক্রমণ করা হয়েছে।
সূত্র : দ্যা জেনেভো ডেইলি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।