জুমবাংলা ডেস্ক : অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলাডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারে অবস্থান করা সকল যাত্রীই রোহিঙ্গা সম্প্রদায় বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
ট্রলারডুবি থেকে বেঁচে ফেরা এক রোহিঙ্গা নারী জানান, বিয়ে করতেই তিনি মালয়শিয়ায় যাচ্ছিলেন। ইছমত আরা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিয়ে করতে দেড়-দু’লাখ টাকার দরকার। কিন্তু এত টাকা পাবো কোথায়। মা নেই, বাবা নেই। মালয়েশিয়াতে পরিচিত অনেকে আছে। ভেবেছিলাম, ওখানে গিয়ে তাদের কাউকে বিয়ে করে ফেলবো। কাজ নয়, বিয়ে করতেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ ছাড়া ৭৩ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অর্ধশত রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা যায়। তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ছাড়াও নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ট্রলারে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন ইছমত আরা। কিন্তু সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের কাছে পৌঁছালে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।