আর্জেন্টিনার দর্শকদের জন্য কাতার বিশ্বকাপ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কেননা লিওনেল মেসিরা শুধু বিশ্বকাপ জিতেনি বরং এমন কিছু মুহূর্তের জন্ম দিয়েছে যা গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা দর্শকরা এবং টিভির সামনে খেলা দেখতে বসা সবাই কখনো ভুলতে পারবে না।
কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ড। আর্জেন্টিনা খুব সহজেই দুটি গোল পেয়ে গিয়েছিল। ওই সময় দর্শকরা খুব নিশ্চিন্তে ছিলেন। তারা ভেবেছিলেন যে, খুব সহজেই আর্জেন্টিনা পার পেয়ে যাবে ও সেমিফাইনালে উঠে যাবে।
কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড পূর্বেই নেদারল্যান্ড দুই গোল পরিশোধ করল এবং খেলা সমতায় ফিরে এলো। গ্যালারিতে খেলা দেখতে বসে অনেক আর্জেন্টিনার দর্শকরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। আবার একই ঘটনার পুনরায় জন্ম হয় ফাইনাল ম্যাচে।
আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত খেলে ফ্রান্সের জালে দুইবার বল পাঠালেন। আবার ফ্রান্স শেষ মুহূর্তে দুই গোল পরিশোধ করলো এবং খেলা সমতায় ফিরে এলো। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ফাইনালের একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হবে এটা সমর্থকরা আশা করেননি।
অস্ট্রেলিয়ার সাথেও ম্যাচটি মেসির দল খুব সহজেই ২-০ গোলে জিতে যেতে পারত। কিন্তু খেলার শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার প্লেয়াররা দুর্দান্ত দুইটি সুযোগ পেয়ে যায়। অনেকে ভেবেছিল অস্ট্রেলিয়ানরা হয়তো খেলা এক্সট্রা টাইম পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
লিসান্দ্রো মার্তিনেজ ও গোলকিপার এমিলিয়ানোর জন্য আর্জেন্টিনা বেঁচে গিয়েছিল। সেমিফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনা অনেক দুদার্ন্ত খেলেছিল। ওই ম্যাচে হুলিয়ান আলভারেজ এত চমৎকার খেললেন যা চিরদিন মনে রাখবে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
তিনি তিনটি গোলেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সাথে আর্জেন্টিনা যখন এক শূন্য গোলে লিড নিয়েছিল তখন কেউ ভাবতে পারেনি যে মেসির দল পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়বে। কিন্তু এটাই ঘটেছিল এবং পুরো ফুটবল দুনিয়া বিস্মিত হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।